স্টাফ রিপোর্টার: জুড়ী এবং শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের পর কমলগঞ্জ ও কুলাউড়া উপজেলা সম্মেলনকে ঘিরে আওয়ামীলীগ ঘরানায় লবিং সহ ¯œায়ু চাপ তুঙ্গেঁ উঠেছে। ১৫ বছর পর দুই উপজেলা সম্মেলনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে তৃণমূলের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটবে নাকি উপর মহলের আরোপিত সিন্ধান্তের বাস্তবায়ন ঘটবে তা নিয়ে দ্বিধা সংশয় রয়েছে মাঠ পর্য্যায়ের কর্মীসহ শুভানুধ্যায়ী মহলে।
আগামী ৯ নভেম্বর কমলগঞ্জ এবং ১০ নভেম্বর কুলাউড়া উপজেলাতে আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্টিত হচ্ছে। সম্মেলনে জেলা বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় পর্য্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন। সম্মেলনকে সামনে রেখে পুরাতন এবং নতুন নেতৃবৃন্দের মধ্যে পদ পদবী নিয়ে ¯œায়ু চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। তার প্রভাব পড়েছে তৃণমূলের কর্মীদের উপর। উভয় উপজেলাতেই সভাপতি এবং সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী দৌড়ঝাপ শুরু করেছেন। অবস্থান সংহত করার জন্য ইউনিয়ন পর্য্যায়ের নেতৃবৃন্দ সহ কাউন্সিলরদেরকে স্বপক্ষে টানার জন্য পদ প্রার্থীরা অধিকতর তৎপর হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছে। তৃণমূলের মতামত কতটুকু প্রভাব ফেলবে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে? গত ১২ও ১৩ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত জুড়ি ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন এবং কাউন্সিলে তৃণমূলের মতামতের চাইতে সভাপতি ও সম্পাদক নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা নেতৃবৃন্দ সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ইচ্ছার বাস্তবায়ন ঘটেছে। চক্ষু লজ্জা এবং প্রভাবের সম্মুখে প্রতিদ্বন্দি প্রার্থীরা নতমুখে নিজ নিজ অবস্থানের ছাড় দিয়েছেন। একই ভাবে তৃণমূলের কাউন্সিলরাও চুপসে গেছে। একই অবস্থার কি পুণরাবৃত্তি হবে আসন্ন দুই উপজেলা কাউন্সিলে? এ প্রশ্ন সংশ্লিষ্ট মহলের। এ ব্যাপারে উভয় উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে নানান অভিব্যক্তি। অনেকেরই মতামত হচ্ছে- তৃণমূলই হচ্ছে দলের ষ্ট্রাইকিং ফোর্স। তাই নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে তৃণমূলের ইচ্ছাকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত। কারো কারো মতে- নেতৃত্ব নির্বাচনের বেলায় ভোটাভুটি হওয়া এক প্রকার ঝামেলার সমান। তাই উপস্থিতদের মৌখিক ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর ভিত্তি করেই কমিটি গঠন করা যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই উপজেলার দুই ইউনিয়ন নেতা বলেছেন- সম্মেলন ও কাউন্সিলের আগেই কে সভাপতি এবং কে সম্পাদক হবেন- তা নির্ধারিত হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় নেতা শুধু তা অনুমোদন করেন। তবে কমলগঞ্জ এবং কুলাউড়ার তৃণমূলের অবস্থান ভিন্ন। বিতর্কিত, আধিপত্যসৃষ্টিকারী এবং দলীয় পদবী ব্যবহার করে আখের গোছানোওয়ালাদেরকে দূরে সরিয়ে স্বচ্ছ এবং ইমেজধারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে হবে আসন্ন সম্মেলন ও কাউন্সিল অধিবেশনে। তাহলেই তৃণমূল উজ্জীবিত হতে পারে।
আওয়ামীলীগের উপজেলা সম্মেলন, নেতৃত্ব নির্ধারণে তৃণমূলের ভূমিকা থাকছে কতটুকু?
