স্টাফ রিপোর্টারঃ কোচের হাতেই মৌলভীবাজার এ্যাতলেটিক একাডেমীর এক মেয়ে খেলোয়াড়কে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। যৌন হয়রানির স্বীকার মেয়েটি কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার চাইতে গিয়েও নানা হুমকির সম্মুখিন। ভুক্তভোগীর অভিযোগ একাডেমী কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি ধামাছাপা দেয়া জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছে।
হয়রানির স্বীকার মেয়ে জানায়, ২১ অক্টোবর সকালে প্রতিদিনের মতো মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামে প্রাকটিস করতে যায়। তখন মেয়েটি হাটুতে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গ্যালারিতে বসে প্রাথমিক ব্যায়াম করে। পরে প্রশিক্ষক ফয়জুল হক মনা ভুক্তভোগী মেয়েকে স্টেডিয়ামের উপরের তলার রুমে যেতে বলেন। প্রশিক্ষকের কথা অনুযায়ী সে দুতলায় রুমে যায়। এসময় দুতলায় অন্য কোনো খেলোয়াড় ছিল না। ভুক্তভোগীর অভিযোগ তার হাটুতে আঘাতপ্রাপ্ত হলেও প্রশিক্ষক তার শরীরের স্পর্শকাতক স্থানে হাত দিয়ে অন্যান্য ব্যায়াম দেখান। এসময় মেয়েটি বাঁধা দিলে প্রশিক্ষক কর্ণপাত করেননি। এক পর্যায়ে মেয়েটি রুম থেকে বের হয়ে মাঠে চলে আসে।
এদিকে একটি গোপন সূত্র জানায়, বিষয়টি একাডেমীতে জানাজানি হওয়ার পর গত ২৭ অক্টোবর স্টেডিয়ামের ইনডোরে ছেলেদের প্রশিক্ষক দেলোওয়ার, পরিচালক চমন মজুমদার, সুহেব ও শিপন সহ ৭/৮ জন ছেলে খোলোয়াড়কে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য বসা হয়। এসময় অভিযুক্ত প্রশিক্ষক তার ভুলের জন্য ক্ষমা চান এবং একাডেমী থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তবে মেয়েটির দাবি ছিল ওই অভিযুক্ত প্রশিক্ষককে লিখিতভাবে একাডেমী থেকে বাহিষ্কারের। কিন্তু তা করা হয়নি।
এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রশিক্ষক ফয়জুল হক মনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন ও হয়রানি করার জন্য অভিযোগ তুলা হয়েছে।
এবিষয়ে একাডেমীর পরিচালক চমন মজুমদার বলেন, মেয়েটির মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তার চাহিদা মতো গত ২৭ অক্টোবর স্টেডিয়ামের ইনডোরে বসে সমাধান করে দিয়েছি।
মৌলভীবাজারে মেয়ে খেলোয়াড়কে যৌন হয়রানির অভিযোগ
