স্টাফ রিপোর্টার: মায়ের কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা আদায়ের বায়না ধরে আত্মগোপন করে মাসুম। পরে সহযোগীদের দিয়ে অপহরণের নাটক সাজিয়ে মায়ের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে। পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৩ দিন পর অভিযান চালিয়ে সিলেট হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। নাটককারী মাসুম আহমদ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভুজবল গ্রামের দুবাই প্রবাসী সুলেমান মিয়া ওরফে তাজিল মিয়ার ছেলে।
মৌলভীবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রাশেদুল ইসলাম জানান, মাসুমের চাচা মুক্তার মিয়া মঙ্গলবার ১৭ সেপ্টেম্বর বিকালে ভাতিজা মাসুম আহমদ অপহরণ হয়েছে বলে রাজনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এসময় অপহরণকারীরা ওই ছাত্রের পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে বলে জানানো হয়।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম বলেন, ছেলেটির পরিবার থেকে থানায় জিডির সূত্র ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় সিলেটের হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকায় গোপন সংবাদের ভিতিত্তে অভিযান চালিয়ে মাসুমকে উদ্ধার করা হয়। এসময় তার তার সাথে জড়িত চাচাত ভাই সালমান মিয়া ও সামাদ মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, মাসুম নিজেই তাদেরকে নিয়ে অপহরনের নাটক সাজিয়ে তার মার কাছ থেকে টাকা নিতে চেয়েছিল।
পুলিশ ও অপহৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাজী গজনফর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ছাত্র মাসুম আহমদ (১৪) মঙ্গলবার বিকাল ৫টার সময় চুল কাটার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। রাত ১০টা পর্যন্ত বাড়ীতে না আসায় পরিবারের লোকজন তাকে গ্রাম, আশপাশের এলাকা ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে তার খোঁজ করে পাননি। রাত ১টার দিকে মাসুম আহমদের মায়ের মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। অপর প্রান্তে থেকে বলা হয় ‘১০ লক্ষ টাকা দিলে তার ছেলেকে ফিরিয়ে দেয়া হবে। থানা পুলিশ করে কোন লাভ নেই। টাকা কোথায় নিয়ে যেতে হবে তা পরে জানাবে।’ একথা বলে সংযোগ বিছিন্ন করে দেয় অপহরণকারী চক্র। এর কিছুক্ষন পরেই ফোন করে ‘টাকা রেডি হয়েছে কি না জানতে চায় এবং বলে টাকা সিলেটের মালনি ছড়া বাগানের নিয়ে যেতে হবে। পরদিন বুধবার এব্যাপারে রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়রি (নং-৮১৫, তারিখ: ১৮-০৯-২০১৯) করেন মাসুম আহমদের চাচা।
মায়ের কাছ থেকে টাকা আদায় করতে অপহরণ নাটক
