স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক খানাখন্দে ভরপূর। প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে ওই রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করছেন যাত্রীরা। ইতি মধ্যে ভাঙ্গা রাস্তার কারনে একাধিকবার বড় ধরনের দূর্ঘটনাও ঘটেছে। হতাহত হয়েছেন অনেক লোক। কিন্তু এর পরেও টনক নড়েনি কর্র্তৃপক্ষের। মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই তাদের। তবে একটি সূত্র বলছে, বর্ষা মৌসুম শেষে কাজ শুরু হতে পারে।
জানা যায়, মৌলভীবাজার-শেরপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক হয়ে এজেলার মানুষ সিলেট যাতায়াত করেন। মৌলভীবাজার সদর থেকে সিলেটের সাথে যোগাযোগের এটিই প্রধান রাস্তা। এ রাস্তা ভাঙ্গা থাকায় বিকল্প হিসেবে অনেকেই জেলার রাজনগর উপজেলা দিয়ে অতিবাহিত রাস্তা ব্যবহার করেন। কিন্তু এটাও অধিকাংশ জায়গায় ভাঙ্গা। কোনো রাস্তাই ব্যবহারের উপযোগী নয়।
সরেজমিন দেখা যায়, মৌলভীবাজার থেকে শেরপুর পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটারে ছোট বড় প্রায় ৮০/১০০টির মতো ভাঙ্গা রয়েছে। বিশেষ করে রাস্তার পাশে পাকা পিচ ঢালাই ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে রাস্তার বক্স থেকে পাথর সহ কার্পেটিং উঠে খাদে পড়েছে। এর কারনে অনেক সময় বড় দুটি গাড়ি এক সাথে অতিক্রম করতে পারেনা। একটি গাড়ি দাঁড়িয়ে অপরটি অতিক্রম করতে হয়। আধাঘন্টার রাস্তায় সময় লাগে ৪৫/৫০ মিনিটি। একারনে বিড়ম্বনায় পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে স্কুল ও কলেজগামী শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা সময় মতো বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে পারে না। মুস্তাকিন মিয়া নামের এক শিক্ষানীবেশ গাড়ি চালক বলেন, প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে ওই রোডে গাড়ি চালাতে হয়। এক সাথে দুটি গাড়ি অতিক্রম করা যায় না। গর্তের কারনে ঈদের আগেও কয়েকটি দূর্ঘটনা ঘটেছে। অথচ ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত বেশি।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার সড়ক ও জনপদ বিভাগ বলে, টেন্ডার হয়েছে। বর্ষা মৌসুম শেষ হলে কাজ শুরু হবে।
Post Views:
0