স্টাফ রিপোর্টারঃ এবারের ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে বাড়তি রোজগার বা বোনাসের রকমফের পরিলক্ষিত হয়েছে মৌলভীবাজার জেলায়। জবাইকৃত কোরবানীর পশুর চামড়া মূল্যহীন হয়ে পড়লেও জবাইকৃত পশু থেকে চামড়া উঠানো এবং মাংস প্রক্রিয়াজাত করার ক্ষেত্রে দক্ষ শ্রমিকের মজুরি বেড়েছে কয়েকগুন। কোনো কোনো এলাকায় টাকা দিয়েও পেশাদার শ্রমিক পাওয়া যায়নি। যার ফলে বিপাকে পড়েছেন কোরবানী দাতারা। বলা যায় অনেকটাই তারা জিম্মি করে রাখে কোরবানী দাতাদের। বাড়তি এই মজুরিকে শ্রমিকরা এক প্রকার বোনাসের মতো মনে করছেন।
জেলার বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খাসির চামড়া উঠানো ও মাংস কাটার ক্ষেত্রে প্রতিটিতে মজুরি দিতে হয়েছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা। একইভাবে গরুর আকৃতি ভেদে মজুরি দিতে হয়েছে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। দু’জন শ্রমিক ঈদের দিনে ২/৩ টি গরু ও ৭/৮টি খাসি প্রক্রিয়াজাত করেছেন। একদিনে তাদের আয় হয়েছে প্রায় ৬/৭ হাজার টাকা।
অন্যদিকে লিল্লাহর মাংস বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করে কলোনি ও বস্তির বাসিন্দারা। বিকালে এগুলো বিক্রি করে দেয়। গত ঈদের দিন সন্ধ্যার দিকে দেখা যায়, মৌলভীবাজার পৌর শহরের মনুব্রীজের নিচে অনেকে হোটেল মালিক ও শাহী হালিম বিক্রেতার কাছে তারা তুলনামূলক কম দামে মাংস বিক্রি করছেন। অনেকটা এটাকে তারা পেশায় পরিণত করেছে।
Post Views:
0