স্টাফ রিপোর্টারঃ সদ্য প্রকাশিত সিলেট শিক্ষা বোর্ডর এইচএসসি পরীক্ষাতে পাশের হার ৬৭.০৫ হলেও মৌলভীবাজার জেলাতে পাশের হার ৬০.৯৬ পার্সেন্ট। ৪টি জেলাতে পাশের হারের গড় তুলনায় মৌলভীবাজার জেলায় পাশের হার সর্বনিম্ন। গত ৩ বছর যাবত ফলাফলের এমন অবস্থান দৃশ্যমান হয়ে উঠায় বোঁদ্ধা মহলে আলোচনা সমালোচনা জমে উঠেছে। পাশের ক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি ৩০টি কলেজের ফলাফল হতাশাব্যঞ্জক। পরীক্ষার জন্য বাছাইকৃত ছাত্রছাত্রীদের ৪০ শতাংশ অকৃতকার্য হয়েছে। পরীক্ষা পাশের এই অধোগতির ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রছাত্রীদের অনুপস্থিতি, শ্রেণী কক্ষে পাঠদানের পরিবর্তে শিক্ষকদের কোচিং এর প্রতি ঝুঁকে পড়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন পরিক্ষার কেন্দ্র থাকায় নৈমিত্তিক পাঠদানে বিরতি সহ পরিপার্শ্বিক উপসর্গকে দায়ী করছেন অভিজ্ঞ মহল। খবর নিয়ে জানা গেছে, সরকারি কলেজ সমূহে এক শ্রেণীর শিক্ষক নিজস্ব খুঁটির জুরে সদা অনুপস্থিত থাকায় নিয়মিত ক্লাস পরিচালন ব্যহত হচ্ছে। মৌলভীবাজার মহিলা সরকারি কলেজেই ৫ জন শিক্ষক মাসে ২/৩দিন হাজিরা দিয়ে বাকি সময় কাটান নিজ নিজ এলাকায় বলে জনশ্রুতি আছে। এমন বাস্তবতা অন্যান্য সরকারি কলেজেও বিদ্যমান। ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে কোচিং প্রবণতা বদ্ধমূল হয়ে উঠায় শ্রেণী কক্ষে উপস্থিতির হ্রাস পাচ্ছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, ৪/৫টি বিষয়ে একেকজন ছাত্র কোচিং গ্রহণ করায় কলেজ ক্যাম্পাসে তাদের উপস্থিতি কম ঘটছে। পরিক্ষা পাশের অধোগতির ক্ষেত্রে অভিভাবকদের দুর্বলতাকেও দায়ী করছেন অনেকে। শহরকেন্দ্রীক কলেজ সমূহে ছেলেমেয়ে কলেজে যাচ্ছে না কি ফুঁচকার দোকান, আবাসিক বর্ডিং কিংবা রিসোর্টে আড্ডায় মশগুল থাকে সে খবর অনেকেই রাখেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ছাত্রছাত্রীরা রাতে বই পড়ছে নাকি মোবাইলে মোহাচ্ছন্ন হয়ে উঠেছে সেদিকেও খেয়াল নেই অনেকের। এমতাবস্থায় অবনতি যা ঘটার তাই ঘটছে।