স্টাফ রিপোর্টারঃ কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে মৌলভীবাজার জেলার ৫৫ হাজার ৬’শ ৯০ জন লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য খোলা হয়েছে মাত্র ৮টি আশ্রয় কেন্দ্র। এর বাহিরেও অনেক লোক এখনও খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ সামগ্রি বিতরণে চরম দলীয় করনের অভিযোগ উঠেছে। জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা ত্রাণ বিতরনে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের অগ্রাধিকার দিচ্ছেন বলে বন্যার্ত মানুষের অভিযোগ। যার ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রকৃত বন্যার্ত মানুষ। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান অভিযোগ গুলো অস্বীকার করে বলেন, প্রত্যেককে দেয়া সম্ভব নয়, তবে ইউএনও ও ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে প্রকৃত বন্যার্তদের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরন করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, তাৎক্ষণিকভাবে বন্যার্তদের মাঝে ৬৫০ মেট্টিক টন চাল, ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ ৯ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। পানি ডুকে ২৫টি প্রাইমারী ও ৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তলিয়ে গেছে। এদিকে সদরে ২, রাজনগরে ৩, কমলগঞ্জে ২ ও জুড়ী উপজেলায় ১টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এদিকে কুশিয়ারা নদীর শেরপুর এলাকায় গত বছরের ভাঙ্গনকৃত ২টি স্থানে ফের ভেঙ্গে ২০টি গ্রামের ২০ হাজার লোক পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য আজাদ বখত উচ্চ বিদ্যালয়ে ও আমরকোনা মাদ্রাসায় ২টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় কেন্দ্রের বাহিরে এখনও অনেক লোক রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মনু নদীর চাঁদনীঘাট এলাকায় ৯৬ ও কমলগঞ্জ এলাকার ধলাই নদীতে ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তবে মনুনদীর কুলাউড়ার মনু রেলওয়ে ব্রীজ এলাকায় বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী জানান, “পানি কমা শুরু করেছে, আশাবাদী রাতের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।