রাজনগর প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজারের রাজনগরে প্রান্তিক কৃষকদের কাছ থেকে সরকারি ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। তিনি ইতিমধ্যে তিনি এলাকায় মাইকিং শুরু করেছেন। প্রথম ধাপে ধান ক্রয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অনিয়মের খবর প্রচারের পর সর্বোচ্চ স্বচ্ছতার জন্য এমন প্রদক্ষেপ নেন তিনি। উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয় থেকে শনিবার উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে মাইকিং করে কৃষকদের কার্ড জমা দিতে বলা হয়। রোববার সকাল থেকে ধান বিক্রি করতে ইচ্ছুক কৃষকদের কাছ থেকে কৃষিকার্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২৭ জুন উপজেলা অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালার আলোকে উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন থেকে মোট ৫৮৪ মেট্রিক টন বোরো ধান সংগ্রহের জন্য প্রান্তিক কৃষক ও মহিলা কৃষকদের অগ্রাধিকার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এই লক্ষ্যে কৃষকদের কাছ থেকে কৃষি কার্ড সংগ্রহের জন্য মাইকিং করা হয়েছে। যাদের নিজস্ব জমি আছে এমন কৃষকদের কার্ড যাচাই-বাছাই করে কার্ডের ফটোকপিতে জমির পরিমাণ বিবেচনা করে বিক্রয়যোগ্য ধানের পরিমাণ উল্ল্যেখ করে দিচ্ছেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। এসব ফটোকপি ৮টি ইউনিয়নের কৃষকদের জন্য স্থাপিত আলাদা আলাদা অস্থায়ী বাক্সে (ড্রাম) ফেলছেন কৃষকরা। মঙ্গলবার পর্যন্ত এভাবে কার্ড সংগ্রহ চলবে। পরে সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মুখে লটারীর মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকরা ধান বিক্রি করতে পারবেন। নির্বাচিতদের তালিকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস, কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় ও উপজেলা খাদ্য গুদামের নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেয়া হবে।
স্থানীয় এক কৃষক বলেন, আগেরবার ধান বিক্রয়ের খবর জানতে পারিনি। এবার মাইকিং শুনে কার্ড জমা দিতে এসেছি। যেভাবে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে তাতে আশা করি ধান বিক্রয়ের সুযোগ পাব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহীদুল ইসলাম বলেন, খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা অনুযায়ী আগ্রহী কৃষকদের কাছ থেকে কার্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে। কৃষক নির্বাচনের ক্ষেত্রে সরকার প্রান্তিক কৃষক ও মহিলা কৃষকদের অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এবার লটারীর মাধ্যমে কৃষক বাছাই করা হচ্ছে।
রাজনগরে সরকারি ধান সংগ্রহ করতে বিকল্প উদ্যোগ
