সরওয়ার আহমদঃ দেশীয় বাজারে সিন্ডিকেট জনিত কৃত্রিম সংকট ও মুনাফাবাজীর প্রেক্ষাপটে ভারতীয় বিড়ি ও সিগারেটের কদর মৌলভীবাজারে ক্রমশ বাড়ছে। এবার জেলার গ্রামীণ হাট বাজারে ভারতীয় “সেখ নাসিরুদ্দিন” বিড়ির সাথে নতুন ব্রান্ডের “ক্লাসিক” সিগারেট চোরাই পথে এসে বাজার দখলে নিতে মরিয়া।
একাধিক খুচরা সিগারেট ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ২০১৯-২০ সালের জাতীয় বাজেট পেশের দু’মাস আগ থেকে সিগারেট সরবরাহে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে স্থানীয় এজেন্ট এবং সরবরাহকারীরা প্রতি প্যাকেট সিগারেটের মূল্য ১০/১৫ টাকা বাড়িয়ে দেয়। এমতাবস্থায় খুঁচরা বিক্রেতারা মূল্য বৃদ্ধির কারনে ৭০ টাকা প্যাকেট মূল্যের পাইলট ও ডারবি সিগারেটের দাম আদায় করছে ৯০/১০০ টাকা। সিগারেট বাজারের এই কৃত্রিম সংকট তথা মুনাফাবাজির সুযোগ নিয়েছে চোরাচালানিরা। তুলনামূলক কমদামের ভারতীয় নাসির বিড়ি ও ক্লাসিক সিগারেট বাজারজাতে তারা উদ্যোগী হয়ে উঠে। এ উদ্যোগের ফলও মিলেছে হাতেনাতে। গ্রামীন হাটবাজারে খুঁচরা মূল্যে এক প্যাকেট নাসির বিড়ি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। একইভাবে ২০ শলাকার দৃষ্টিনন্দন ক্লাসিক সিগারেটের প্যাকেট বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশীয় সিগারেটের পাশাপাশি ভারতীয় সেখ নাসিরুদ্দিন বিড়ির বাজার পূর্ব থেকেই এখানে প্রতিষ্ঠিত। ৪৭ সনের দেশ ভাগের আগ থেকেই এতদঅঞ্চলের গ্রামীণ ধূমপায়ীরা উক্ত বিড়ির প্রতি আকৃষ্ট ছিল। তার ধারাবাহিকতা এখনও অব্যাহত আছে। সীমান্তের কড়া নজরদারি এমনকি কাঁটা তারের বেড়াও উক্ত বিড়ির সরবরাহ বন্ধ করতে পারছে না। ইদানিং যুক্ত হয়েছে সিগারেট। সিগারেটের এই নতুন বাজারের পথ প্রশস্থ করে দিচ্ছে দেশীয় ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারীদের মজুতদারি ও অতি মুনাফাবাজীরা। বাজেটকে সামনে রেখে প্রতি বছর এই চক্র সিগারেটের সর্বরাহ কমিয়ে মজুত বাড়িয়ে দেয় মুনাফা বৃদ্ধির লক্ষ্যে। কিন্তু এবার ধরেছে উল্টা দশা। সিগারেটের মাত্রাতিরিক্ত দর বৃদ্ধির কারনে ধূমপায়ীরা চোরাই সিগারেটের উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠায় দেশীয় সিগারেটের কাটতি ক্রমশ নি¤œমুখী হচ্ছে। বড় অংকের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মূল্য কম থাকায় সাধারণ ধূমপায়ীরা চোরাই পথে আসা মেহমান বিড়ি সিগারেটের প্রতি ঝুকে পড়েছে বেশি মাত্রায়।
মৌলভীবাজারে ভারতীয় বিড়ি সিগারেটের কদর বাড়ছে
