বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারে ভেজাল পণ্যের বিরুদ্ধে অভিযান করতে গিয়ে কতিপয় ব্যবসায়ীদের হাতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আল-আমীন শারিরিকভাবে লাঞ্চিত ও অবরুদ্ধের ঘটনায় শহর জোড়ে চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। একজন সরকারি কর্মকর্তাকে এভাবে লাঞ্চিত ও অবরুদ্ধের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।
এঘটনায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে লাঞ্চিত, অবরুদ্ধ ও জরিমানার টাকা আদায়ের জন্য মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভোক্ত সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আল-আমিন। তবে এবিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের অফিসিয়াল ফেইজবুক পেইজে বলা হয়েছে “ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আল-আমিন নিয়মীত অভিযান পরিচালনা করতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় ব্যবসায়ী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের সহযোগীতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়”। বিবৃতিতে ভোক্তা কর্মকর্তা আল-আমিন লাঞ্চিত বা হয়রানির শিকার হয়েছেন কথাটি বলা হয়নি। এদিকে ভোক্তা উপ-পরিচালক আল-আমিন সাংবাদিকদের দেয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “এম সাইফুর রহমান রোডে অবস্থিত বিলাস ডিপার্টমেন্টাল স্টোরকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিলেও তারা জরিমানার টাকা পরিশোধ করেনি বরং সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করেছেন। সহকারী পরিচালককে শারীরিক ভাবে আঘাত করে আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখিয়েছেন। সহকারী পরিচালককে সাময়িকভাবে আটকিয়ে রাখেন। বিলাস ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরে মালিক মিথ্যাভাবে সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলেন”। যার ফলে বিষয়টি কোন দিকে গড়াচ্ছে এনিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। তবে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আল-আমিন বলছেন, এবিষয়ে আইনিভাবে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।
বিলাস ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোরের সত্ত্বাধিকারী মোঃ সুহাদ বলেন, পুরো বছরে আমরা ব্যবসা করার জন্য একটি সময় পাই। এই সময়ে ভোক্তা কর্মকর্তা সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে কয়েক দিন পর পর ব্যবসায়ীদের হয়রানি করা জন্য পরিকল্পিত ভাবে এটা করেছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন লাঞ্চনার শিকার ভোক্তা কর্মকর্তা
