বিশেষ প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার শহরের ব্যস্থতম সেন্ট্রাল রোডের শতাধিক শপিং মহল, ব্যাংক, বীমা, বস্ত্রবিতান, রেষ্টুরেন্ট, কোম্পানীর শো-রুমসহ বড়বড় শপিং মহল এবং বহুতল ভবনে নেই কোন নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতারা অনেকটা বাধ্য হয়ে রাস্তায় গাড়ি দাড় করে কেনাকাটা করছেন। যার ফলে আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে অন্যান্য বছরের মতো এই বছরও তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ দিনের এই যানজট নিরসনে কর্তৃপক্ষের নেই কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। অভিযোগ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রাস্তায় চলছে ব্যবসায়ীদের এই পার্কিং ব্যবস্থা। অনেকেইে দেখেও না দেখার বান করছেন। এনিয়ে কেনাকাটা করতে আসা সাধারণ ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সিএনজি চালকরা ওই রোডে ইতি মধ্যে দিগুণ ভাড়া বাড়িয়েছে।
প্রবাসী অধ্যুষিত এ জেলার বাসিন্দাদের কাছে এমবি ক্লথ ষ্টোর ও বিলাস ডিপার্টমেন্টাল ষ্টোর একই নামে পরিচিত। টেইলারিং ও জুতা থেকে শুরু করে দুটি শপিং মহলে পাওয়া যায় সব ধরনের পণ্য। যার কারণে এখানে প্রবাসী ক্রেতাদের ভীড় থাকে সব সময়। ওই শপিং মহল দুটি সেন্ট্রাল রোডের পশ্চিমবাজার এলাকায় রাস্তার দু-পাশে পরস্পর বিপরীতে অবস্থিত। তাদের নেই কোন নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা। যার কারণে বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতারা বাধ্য হয়ে রাস্তার পাশে ঘন্টার পর ঘন্টা প্রাইভেট গাড়ি দাঁড় করে কেনাকাটা করেন। শপিং মহল দুটি মুখামোখি থাকায় উভয় দোকানের গাড়িতে যাত্রী চলাচলের রাস্তার প্রায় অর্ধেক তাদের দখলে চলে যায়। ফলে ৫মিনিটের ওই রাস্তায় অতিক্রম করতে হয় ৩০ মিনিটে। চরম দুর্ভোগ পুহাচ্ছেন ঈদের কেনাকাটা করতে আসা সাধারণ ক্রেতাদের।
সরেজমিন শুক্রবার শহরের চৌমহনী পয়েন্ট থেকে সেন্ট্রাল রোড প্রদিক্ষণ করলে দেখা যায়, শহরের চৌমুহনী এলাকায় ৫তলা বিশিষ্ট আখিঁ প্লাজা, ৩ তলা বিশিষ্ট ওয়াছির প্লাজা, ৪র্থ তলা বিশিষ্ট আহমদ ম্যানশন, ৪র্থ তলা বিশিষ্ট জুলিয়া শপিং সিটি, বউরাণী বিউটি পার্লার, ৪র্থ তলা বিশিষ্ট হোসেইন মার্কেট, ৪র্থ তলা বিশিষ্ট হাজি মন্তাজ মিয়া ম্যানশন, ৪র্থ তলা বিশিষ্ট শরিফ ভিলা, পশ্চিমবাজার এলাকায় ৩য় তলা বিশিষ্ট রহমান প্লাজা, ৭তলা বিশিষ্ট ওয়েষ্ট পয়েন্ট, ৪র্থ তলা বিশিষ্ট হাজেরা ভবন, হোসেন ম্যানশন, ২তলা বিশিষ্ট সেলিনা স্টাইল, ৬ষ্ট তলা বিশিষ্ট কবির টাওয়ার, সেন্ট্রাল রোডের লট্ট শো-রুম, এপেক্স জুতার শো-রুম, সেভেন স্টার প্লাজা, সেরাটাউন প্লাজা, শাপলা ম্যানশন, ১০ তলা বিশিষ্ট আরণ টাওয়ার ও জেক্স টেক্সটাইলসহ আরও একাধিক ভবন ও দোকানে নেই নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা। এ সকল বহুতল ভবনে শতাধিক শপিং মহল, ব্যাংক এবং অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্টান রয়েছে। ক্রেতারা বাধ্য হয়ে যাত্রী চলাচলের রাস্তার পাশে গাড়ি পার্কিং করে কেনাকাটা এবং ব্যাংক লেনদেন করেন। ফলে ওই রাস্তায় চরম যানজটের সৃষ্টি হয়। চৌমুহনী হতে কুসুমবাগ ৫মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে ৩০মিনিট।
এসময় ঈদের কেনাকাটা করতে আসা শেরপুর এলাকার আজিম, সরকার বাজার এলাকার নাছিমা ও রাজনগর উপজেলার নাঈমা আক্তারের সাথে কথা হলে তারা বলেন, শপিং মহল গুলোতে পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় আমরা স্বাচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে পারছিনা। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় সহজে যাতায়াত করাও সম্ভব হচ্ছে না। যার কারণে আমাদেরকে অবর্ননিয় দূর্ভোগ পুহাতে হচ্ছে।।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার পৌরসভা কর্তৃপক্ষ বলছে, এই শপিং মহল গুলো নির্মানের সময় আইনীভাবে পার্কিং রাখা বাধ্যবাধকতা ছিলনা। কিন্তু ২০০৯ সালের পরে যে সকল বিল্ডিং নির্মাণ করা হচ্ছে সে গুলোতে পার্কিং এর ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। বিল্ডিং নির্মাণের নীতিমালা কেউ না মানলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।