বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মৌভলীবাজার সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি গাছ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কোনো প্রকার অনুমতি না নিয়ে গোপনে কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক কালি প্রসাদ ভট্টচার্জের নির্দেশে এ গাছ গুলো কর্তন হয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। দীর্ঘ দিনের পুরাতন গাছ গুলো কর্তন করায় শহরবাসীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
একটি সূত্র জানায়, গত ১৭ ও ১৮ মে শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন গোপনে এ গাছ গুলো কর্তন করা হয়। কালি প্রসাদ ভট্টচার্জের সাথে একাজে জড়িত আছেন অফিস স্টাফ হাফসা আক্তার চৌধুরী, অফিস সহকারী ফয়েজ আহমদ, রেশমা বেগম ও বিদ্যুৎ দাস।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মৌলভীবাজার পুরাতন হাসপাতাল রোডে অস্থিত সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি ১২টি গাছ ডালপালা বিহীন দন্ডায়মান। পাশের কোয়াটারে একজন বৃদ্ধ লোক গাছের ডাল কেটে জ্বালানি কাঠ তৈরি করছেন। এগুলো কে কেটেছে বৃদ্ধ লোকের কাছে জানতে চাইলে ঘরের ভীতর থাকা রেশমা বেগম নামের এক মহিলা এসে বলেন প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক কালি প্রসাদ ভট্টচার্জের নির্দেশে কাটা হয়েছে। এসময় দেখা যায় নিচ থেকে ১৫/১৭ ফুট রেখে সম্পূর্ণ গাছের উপর কেটে রাখা হয়েছে। যে কোনো সময় যাতে সহজে নিচ থেকে কেটে নেয়া যায়।
পরে প্রতিবেদক কয়টি গাছ কাটা হয়েছে প্রধান সহকারী কাম হিসাব রক্ষক কালি প্রসাদ ভট্টচার্জের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৪টি রেন্টি, ১টি মেহগনী ও ১টি করই গাছের ডালপালা কেটেছি। তবে কোনো গাছের নিচ থেকে কেটে বিক্রি করা হয়নি। কর্তনকৃত গাছের ২০ মণ জ্বালানি কাঠ বিক্রি করা হয়েছে। জ্বালানি কাঠ বিক্রির টাকা সরকারি কোষাঘারে জমা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কিছু বলতে পারেননি। তবে একটি বিশ্বস্থ সূত্র বলছে ১২টি গাছের ডালপালা কর্তনের পাশাপাশি ১টি আম ও ১টি কাট বাদাম গাছের নিচ থেকে কাটা হয়েছে। বাকী গাছ গুলো যে কোনো সময় কেটে নেয়া হতে পারে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত কালি প্রসাদ ভট্টচার্জ যুগান্তরকে বলেন, অফিসের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য গাছ কর্তন করা হয়েছে। এনিয়ে কোনো কমিটি কিংবা রেজ্যুলেশন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো কিছু কর হয়নি। নিচ থেকে গাছ কেটে নেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।