কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
এক লম্পটের মিথ্যে ভালোবাসার ছলনায় পা বাড়িয়ে মানষিক এক প্রতিবন্ধি চা কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগি কিশোরী লম্পট প্রেমিকের বিরুদ্ধে কমলগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মদন মোহনপুর চা বাগান পল্লীতে। কমলগঞ্জ থানায় করা অভিযোগ ও ভুক্তভোগির পরিবার সূত্রে জানা যায়, মদন মোহনপুর চা বাগানের গাং লাইন এলাকার রাম সুন্দর রবিদাসের মেয়ে মানষিক প্রতিবন্ধি পার্বতী দাস এর সাথে একই বাগানের মাঝের লাইন এলাকার শংকর রবিদাসের ছেলে রামকিশোন রবিদাস ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলে। পার্বতীর মা-বাবা চা শ্রমিক হওয়ায় প্রতিদিন সকালে চা বাগানের সেকশনে কাজে চলে যেত, আর এসুযোগ কে কাজে লাগায় লম্পট রামকিশোন। একা ঘরে থাকার সুযোগে মিথ্যে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে মানষিক প্রতিবন্ধি পার্বতীকে। ভন্ড প্রেমিকের অবৈধ মনের চাহিদা মেটাতে গিয়ে একসময় অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে মানষিক প্রতিবন্ধি কিশোরী মেয়েটি। মেয়েটির এমন অবস্থা দেখে পরিবারের লোকজন ,অত্র চা বাগান হাসপাতালের কর্তব্যরত স্বাস্থ্য সেবিকা লাভলী চক্রবর্তীর দারস্থ্য হলে তিনি পরিক্ষা-নিরিক্ষা করে জানান, পার্বতী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। কথাটি শোনে পার্বতীর পরিবারের লোকজনের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে। এ বিষয়ে পরিবারের লোকজন মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে, সে জানায় লম্পট প্রেমিক রামকিশোন রবিদাসের কথা। পার্বতীর পিতা রামসুন্দর বলেন, মেয়ের মুখে রামকিশোন এর কথা শোনে, আমরা বিয়ের জন্য রামকিশোনকে বারবার চাপ প্রয়োগ করলেও সে বিষয়টি এড়িয়ে যায়। পরে বিষয়টি আমরা তার অভিবাবককে জানালেও তার অভিবাবকরাও কথা গুলোর কোন কর্ণপাত কবেনি। তাই আমরা আমাদের সমাজপতি ও চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির লোকজন সহ স্থানীয় ইউপি সদস্য ছাবিদ আলীকে বিষয়টি অবহিত করি। ইউপি সদস্য ছাবিদ আলী বলেন, আমি বিষয়টি শোনে অসহায় পরিবারেরর লোকজন কে সাথে নিয়ে মাধবপুর ইউপি চেয়ারম্যন পুস্প কুমার কানুর কাছে গেলে, তিনি লম্পট প্রেমিক রামকিশোন এর পরিবারকে ডেকে পাঠালেও ওরা আসেনি। তাই চেয়াম্যানের নির্দেশে রবিবার (৩ মার্চ) প্রতিবন্ধি কিশোরীসহ তার পরিবারেরর লোকজনকে নিয়ে থানায় গিয়ে পার্বতী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে লম্পট প্রেমিক রামকিশোনের এর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে ভাই রাজেশ রবিদাস এ প্রতিনিধিকে জানায়, তার ভাই নির্দোষ, আমার ভাইকে ফাঁসানোর জন্য সাজানো নাটক করানো হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যান পুস্প কুমার কানু জানান, বিষয়টি নিস্পত্তির লক্ষ্যে প্রতিপক্ষের লোকজনকে খবর পাঠালেও এরা না আসায় আমি আমার ইউপি সদস্য ভিকটিমকে থানায় পাঠিয়েছি।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,আমরা অভিযোগ পেয়েছি,তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Post Views:
0