স্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কদুপুর পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ৩১ লক্ষ টাকার মমালামাল চুরি হওয়ার ১৬ দিন পর উদ্ধার করেছে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ। ১৬৬ ধারায় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন মৌলভীবাজার-৩ পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকা এনার্জিপ্যাক কোম্পানির নৈশ্য প্রহরী রমজান মিয়া ও ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবু রাহেল। মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশ বলছে এ ঘটনার সাথে এনার্জিপ্যাকের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জড়িত। তবে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তাদের নাম বলতে রাজি হয়নি।
জানা যায়, ১৩ ফেব্রুয়ারী রাতে ২ টায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার কদুপুর মৌলভীবাজার-৩ পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থেকে পাওয়ার কেবল, বেয়ার কপার তার ১৩২২ মিটার, জিবি ক্যাবল (কপার) ২১ মিটার, কন্ট্রোল ক্যাবল (কপার) ৬’শ মিটার, কপার লাগ ২’শ পিছ, সিপিউ ও মোবাইলসহ প্রায় ৩১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৪’শ ৮০ টাকার মালামাল চুরি হয়। এই ঘটনায় মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎতের পক্ষে এজিএম আরিফ শাহরিয়ার ফাহাদ নামের এক কর্মকর্তা ১৩ ফেব্রুয়ারী মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-১৩)। পরে পুলিশ ২৮ ফেব্রুয়ারী হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র-২ থেকে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, লিখিত অভিযোগ পেয়ে ঘটনার দিনই নৈশ্য প্রহরী রমজান মিয়াকে গ্রেফতার করি। জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথাও স্বীকার করে রমজান। সে বলেন, “এনার্জিপ্যাক কোম্পানীর লোকেরা তাকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ঘটনাটি কারো কাছে না বলার কথা বলে”। এনার্জিপ্যাক কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবু রাহেলও ঘটনার সাথে জড়িত বলে নৈশ্য প্রহরী স্বীকারোক্তি দেয়। পরে পুলিশ মোঃ আবু রাহেলকে গ্রেফতার করলে ১৬৬ ধারায় সেও চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ আরও জানায়, একই সাথে সিলেট অঞ্চলে পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের ৪টি স্থানে কাজ চলছে। এনার্জিপ্যাক কোম্পানি ঠিকাদারী প্রতিষ্টান হিসেবে কেন্দ্র গুলোতে মালামাল সরবরাহ করার কথা রয়েছে। এক কেন্দ্রের মালামাল সরবরাহ করে এগুলোই রাতে চুরি করে পল্লী বিদ্যুৎতের অন্য কেন্দ্রে সরবরাহ করে এ চক্র। ওই চুরির সাথে এনার্জিপ্যাক কোম্পানি পিডিসহ অনেকেই জড়িত রয়েছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুহেল আহম্মদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার মূলহোতাদের গ্রেফতার করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
১৬ দিন পর বাহুবল পল্লী বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র থেকে মালামাল উদ্ধার
