বিশেষ প্রতিনিধিঃ
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে মৌলভীবাজারে এসএসসি পরীক্ষা চলাকালিন সময় অবাধে চলছে রমরমা কোচিং বাণিজ্য। বিকেল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে এ কার্যক্রম। কোচিংয়ের সাথে খোদ সরকারি ও এমপিওভুক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জড়িত। অনেকটা প্রকাশ্যে দিনে দুপুরে তারা কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন।
প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে ২৭ জানুয়ারি থেকে পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে। কিন্তু মৌলভীবাজারে এর কার্যকরি পদক্ষেপ নেই।
সরেজমিন মৌলভীবাজার শহরের শাহ মোস্তফা রোডস্থ আবহাওয়া অফিসের পাশে এডু এইড টিউটরিয়াল কোচিং সেন্টারে শনিবার বিকালে গেলে দেখা যায় ৩টি কক্ষে প্রকাশ্যেই কোচিং চলছে। এ সময় কোচিংয়ে আসা শিক্ষার্থীদের সাথে প্রতিবেদক কথা বললে জানতে পারেন এসএসসি পরীক্ষা শুরুর পর থেকে কোচিং এক দিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। একই দিন শহরের মধ্যপাড়াস্থ খান মঞ্জিলে অক্সফোড কোচিং সেন্টারে গেলে ক্লাস চলতে দেখা যায়। প্রতিবেদক রোববার সকালে শহরের পিটিআই এলাকায় গেলে দেখতে পান পিটিআই গেইটের বিপরীতে একটি বাড়িতে শাহিন হায়দার নামে একজন শিক্ষক কোচিং পড়াচ্ছেন। এসময় আলী আমজাদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা হলে তারা বলেন, এখানে নিয়মীত কোচিং চলছে। এ ছাড়াও খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মস্তোফাপুর এলাকায় স্টাডি কেয়ার, সিরাজ একাডেমী, দরগাহ মহল্লায় ব্লু-ভার্ড কোচিং সেন্টারে নিয়মীত ক্লাস চলছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ছোট ছোট কক্ষে শিক্ষকরা রাতে কিংবা সকালে প্রতিনয়নতই প্রশাসনের চোখের সামনে কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার বান করছেন। একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় জুতি লাল, রাজকুমার, সুজিত সিংহ, মোস্তাক আহমদ, ইকবাল হোসেন, ফ্লাওয়ার্স কে জি এন্ড হাই স্কুলের শ্যামল কান্তি সিংহ কোচিং চালিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও আলী আমজাদ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৫/৬ জন শিক্ষক কোচিংয়ের সাথে জড়িত।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, জাতি গড়ার কারিগর শিক্ষকরা এভাবে প্রকাশ্যে সরকারের আইনকে অমান্য করলে তারা শিক্ষার্থীরা তাদের কাছ থেকে কি শিখতে পারবে।
এবিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম এ ওয়াদুদ বলেন, কোচিং বন্ধ রাখার জন্য স্থানীয় ভাবে একাধিকবার জানানো হয়েছে। আমরাও বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে গিয়েছি। এর পরেও যদি কেউ কোচিং চালান তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Post Views:
0