স্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজার জেলায় ২০১৮ সালের জুন মাসে ভয়াবহ বন্যায় জেলা সদর ও রাজনগর উপজেলার অনেক সড়ক ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জেলা সদরের অনেক ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক মেরামত হলেও রাজনগর উপজেলার মৌলভীবাজার-কুলাউড়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কদমহাটা বাজার এলাকার পাশে সড়কটির ভাঙ্গা অংশ এখনো সংস্কার হয়নি। বন্যার পর দীর্ঘ ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও এই সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সড়কটি দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীরা। সড়কের এই বেহাল দশার কারণে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় অনেক দূর্ঘটনা। সড়ক দিয়ে চলাচলকারী অনেক যানবাহন এই ভাঙ্গা অংশে এসে আটকে যায়। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয় এই সড়ক ব্যবহারকারী জেলার প্রায় কয়েক লক্ষ্য মানুষকে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বন্যায় সড়কটির কিছু জায়গা বেশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ক্ষতিগ্রস্থ স্থানগুলোতে অনেক বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় অনেক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করে। এই মহাসড়কটি মৌলভীবাজার জেলা সদরের সাথে রাজনগর, কুলাউড়া, বড়লেখা ও জুড়ি উপজেলার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম। ফলে অন্তহীন দূর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে হয় যাত্রীদের।
স্থানীয়রা জানায়, ২০১৮ সালের বন্যায় এই সড়কের কদমহাটা থেকে মহলাল পর্যন্ত পৃথক দুই অংশে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। কয়েক দফা ইট ও পাথর দিয়ে সড়কটি মোটামোটি চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করে সড়ক ও জনপদ (সওজ)। কিন্তু নিয়মিত বড় বড় যানবাহন চলাচল করায় রাস্থা আবার আগের মতো ভেঙে যায়।
অটোরিকশাচালক এনামুল হক বলেন, রাজনগর থেকে নিয়মিত এই সড়ক দিয়ে আমাকে মৌলভীবাজার আসা যাওয়া করতে হয়। এই জায়গায় আসার পর গাড়ি গর্তে পড়লে ঠেলে উঠাতে হয়। রোগী ও মহিলা নিয়ে আসা যাওয়া করলে মাঝেমধ্যে অনেক সমস্যায় পড়ি ।
কলেজ ছাত্র মুবিন খান বলেন, নিয়মিত কলেজে আসা যাওয়া করতে হলে এই সড়ক আমাদের ব্যবহার করতে হয়। ভাঙা জায়গাটা এতোটাই ভয়ঙ্কর যে আমাদের গাড়ি একদিন উল্টে যায়। সড়কটি মেরামত করলে আমাদের যাওয়া আসার জন্য অনেক ভালো হবে।
এব্যাপারে সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ সুহেল বলেন, এই সড়কের ভাঙ্গা অংশ মেরামতের জন্য অনুমোদন হয়েছে। আশা করি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সড়কটির সংস্কারকাজ শুরু হবে।
৭ মাসেও সংস্কার হয়নি মহাসড়কের ভাঙ্গা স্থান
