কুলাউড়া প্রতিনিধি:
কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের পূর্ব রংঙ্গিলকুল, লম্বাকান্দি ও পাঁচপীর জালাই এলকায় যাতায়াতের কাচা রাস্তাসহ খালের উপর নির্মিত কালভার্টটির বেহাল অবস্থা। রাতের আধারে পাহাড় থেকে গাছ পাচারকারিদের তান্ডবে খালের উপর নির্মিত কালভার্টের অনেকাংশ ভেঙে গেছে। গাছ পাচারকারিদের গাছ বোঝাইকৃত বড় বড় গাড়ি যাতায়াত বন্ধ না হলে যে কোন সময় কালভার্টটি ভেঙে পুরোপুরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা স্থানীয়দের। এদিকে গাছ পাচারকারি চক্র অত্যান্ত শক্তিশালী হওয়ায় এলাকার লোকজন ভয়ে মুখ খুলে কথা বলতে পারছেননা।
সরেজমিন গেলে ওই এলাকার বাসিন্দা সোনাওর আলী, মতলিব মিয়া, জব্বার মিয়া, আকুল মিয়া, রহমত আলীসহ অনেকে অভিযোগ করে জানান, স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ তিনটি এলাকার শত শত লোকজন কাচা এ রাস্তাটি ব্যবহার করেন। স্থানীয় লোকজনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০০০ সালে টিলার পাশ দিয়ে বয়ে চলা খালের উপর একটি কালভার্ট নির্মিত হয়। সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকজন গাছ কারবারি রাতের আধারে পাহাড় থেকে ট্রাক বোঝাই করে গাছ পাচারকালে এ রাস্তাটি ব্যবহার করে। রাত ১০টা থেকে ফজর পর্যন্ত চলে গাছ পাচার। যারফলে ওই এলাকার খালের উপর নির্মিত কালভার্টটি ভেঙে যায়। এরপরও ক্লান্ত হয়নি গাছ পাচারকারিরা। কালভার্টের ভাঙা স্থানে গাছের টুকরো ফেলে মাটি ভরাট করে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বর্ষাকাল আসলে রাস্তার অবস্থা এতই নাজুক হয়, পায়ে হেটেও মানুষজন চলাচল করতে পারেননা। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি একাধিকবার গাজিপুর বনবিঠের সহকারী বন কর্মকর্তা রিয়াজ আহমদকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। কিন্তু তিনিও রহস্যময় কারনে নিরব।
শিক্ষার্থী জাহানারা বেগম, সুয়েজ আহমদ, সালাউদ্দিন, রাশেদা আক্তারসহ আর অনেকে জানান, প্রতিদিন রাত হলেই গাড়ির মুহুর-মুহু শব্দ শোনা যায়। গাড়িগুলো এতই শব্দ করে যে, প্রচন্ড ঘুম থেকে চমকে উঠতে হয়।
এব্যাপারে গাজিপুর বনবিঠের সহকারী বন কর্মকর্তা রিয়াজ আহমদ জানান, রাতের আধারে গাছ পাচারের বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে পাচপীর জালাইল এলাকার বিভিন্ন লোকজন শুকনো মৌসুমে নিজেদের বাড়ি থেকে জ¦ালানী কাঠ বিক্রি করেন। যা ট্রাক বোঝাই করে এ রাস্তা দিয়ে নেয়া হয়। বিষয়টি যেহেতু জেনেছি, তাদের আটক করতে শিগগিরই অভিযান করা হবে।
(ছবি ক্যাপশন- কুলাউড়ার জয়চন্ডীতে ভেঙে যাওয়া কালভার্টের উপর গাছের টুকরো ফেলে রাতের আধারে গাড়ি বোঝাই করে চোরাই গাছ পাচার করা হয়।)