স্টাফ রিপোর্টার:
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় রয়েছে শিক্ষিত ও অর্ধ-শিক্ষিত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের অপার সম্ভাবনা। কিন্তু অর্থের অভাবে বেকার যুবকরা কর্মসংস্থান তৈরী করতে হিমসিম খাচ্ছেন। স্বল্প সুদে ঋণ নিয়ে বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য জেলায় কর্মসংস্থান ব্যাংক থাকলেও এর সুফল ভোগ করতে পাচ্ছেননা ওই উপজেলার প্রকৃত বেকার যুবকরা। বরং কর্মসংস্থান ব্যাংকের সুবিধা নিচ্ছে সমাজের স্বাবলম্বী কিছু ব্যবসায়ী এবং কতিপয় জনপ্রতিনিধি। এনিয়ে রাজনগর উপজেলার বেকার যুবকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জেলা কর্মসংস্থান ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার পাঁচগাঁও ইউনিয়নের ইউপি সদস্য তারেক রহমান কর্ণেলের নাম ঋণ খেলাপির তালিকায় রয়েছে। অথচ এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ওই ইউপি সদস্য স্বাবলম্বি। এবিষয়ে ইউপি সদস্য তারেক রহমান কর্ণেল কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ তুলার বিষয়টি স্বীকার করে যুগান্তরকে বলেন, “কত টাকা ঋণ এনেছি সঠিক মনে নেই। তবে নিয়মীত কিস্তি পরিশোধ করছি”।
কর্মসংস্থান ব্যাংকে ঋণ নিতে আসা রাজনগর উপজেলার তাহমিন ও বয়তুল সহ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪/৫ জন শিক্ষিত অর্ধ-শিক্ষিত বেকার যুবক/যুবতী বলেন, জেলা কর্মসংস্থান ব্যাংকে ঋণ উত্তোলনের জন্য একাধিকবার যোগাযোগ করলে তারা বিভিন্ন অজ হাত দেখিয়ে ঋণ দেননি। অথচ এই সুবিদা ভোগ করছেন কতিপয় স্বাবলম্বী ব্যক্তি। সরকার আমাদের মতো বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য কর্মসংস্থান ব্যাংক চালু করলেও এ নায্য অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত।
এ ব্যাপারে জেলা কর্মসংস্থান ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, “ফোনে তথ্য দেয়া যাবে না। কিছু জানতে চাইলে অফিসে এসে নিয়মন্ত্রাতিক ভাবে আবেদন করুন। অযথা কিছু লিখলে তথ্য অধিকার আইনে মামলা দেয়া হবে”।