জুড়ি (মেীলভীবাজার) প্রতিনিধিঃ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জুড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগ ও বিএনপি’র নেতাকর্মীদের মধ্যে গত ২৪ শে ডিসেম্বর ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র, লাটি সোডা নিয়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ফলে উভয় পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের স্থানীয় আব্দুল আজিজ হাসপাতাল সহ জুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
পরেরদিন ২৫ শে ডিসেম্বর ২০১৮ ইং তারিখে উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি বদরুল হোসেন বাদী হয়ে বিএনপির সভাপতি দেওয়ান আইনুল হক মিনু সহ যুবদল নেতা ও কলেজ শিক্ষক মোঃ সোহেল রানা (৩৪) সহমোট ৫০ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে আরও অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
মামলা দায়ের এর পর থেকে পুলিশ গ্রেফতার এর অভিযানে নামে। এ ঘটনায় মামলার আসামী শাহ নিমাত্রা সাগরনাল ফুলতলা কলেজের শিক্ষক ও যুবদল নেতা মোঃ সোহেল রানা’কে কলেজ ফটক থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। আটককৃত শিক্ষককে ওই দিন বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত আসামীর জামিন নামুঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরন করে। অভিযুক্ত শিক্ষকের স্ত্রী সংবাদ সম্মেলন করে উনার স্বামীকে নির্দোশ বলে দাবি করেন এবং অবিলম্বে সরকারের কাছে তার মুক্তি দাবি করেন।
এ ব্যাপারে থানায় যোগাযোগ করা হলে জুড়ি থানার ওসি জানান, অভিযুক্ত সকল আসামিকে গ্রেফতার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত আছে।