কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
বসত ঘর নির্মাণের জমি দাবি করে না পেয়ে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের মাধবপুর চা বাগানের প্লান্টেশন এলাকার ৭০ একর জমি জবর দখল করে নামধারী শ্রমিকরা ঘর নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিষয়টি ন্যাশনাল টি কোম্পানী (এনটিসি)-র কর্মকর্তা পর্যায়ে অবহিত হলেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমনকি থানা পুলিশ কর্মকর্তারা জানেন না।
মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে মাধবপুর চা বাগানের একদল শ্রমিক এ বাগানের ৭ নম্বর প্লান্টেশন এলাকা জবর দখল করে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে।
এনটিসির মালিকানাধীন মাধবপুর চা বাগান সূত্রে জানা যায়, এ বাগানের চা শ্রমিক মুন্না ভর,গোপাল নুনিয়া, রামহরি নুনিয়া, অখিল বাগতি, কানাই রবিদাস সহ শতাধিক চা শ্রমিক মিলিত হয়ে ৭ নম্বর প্লনোটশন এলাকা জবর দখল করে। দখলকারী চা শ্রমকিরা প্রথমে কিছু এলাকা চা গাছ উপড়ে ফেলে সেখানে বসতঘর নির্মাণ শুরু করে। দখলকারী চা শ্রমিক রামহরি নুনিয়া বলেন, তাদের পরিবারের সন্তানাদি বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে বসত ঘর প্রয়োজন। তারা যথারীতি মাধবপুর চা বাগানের ব্যবস্থাপকের ঘরের জন্য আবেদনও করেছিলেন। চা বাগান ব্যবস্থাপক এ আবেদনের প্রেক্ষিতে এ চা বাগানের ৯ নম্বর সেকশনে কিছু পতিত জমিতে বসত ঘর নির্মাণের পরামর্শ দিয়েছিলেন। ব্যবস্থাপকের দেওয়া পতিত জমি বেশ দূরবর্তী হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা মাধবপুর চা বাগানের বাজার সংলগ্ন ৭ নম্বর সেকশনের জমি দখল করে সেখানে বসত ঘর নির্মাণ করছে।
মাধবপুর চা বাগানের প্রধান ব্যবস্থাপক মুরাদ চৌধুরী ৭ নম্বর প্লান্টেশন এলাকার জমি জবর দখল করে চা শ্রমিকরা বসত ঘর নির্মাণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দখলদারা অধিকাংশই নিবন্ধিত চা শ্রমিক নয়। তাদের সবারই থাকার বসত ঘর রয়েছে। তারা আগে আবেদন করেছিল বলে মানবিক কারণে তাদেরকে ৯ নম্বর সেকশনের জমিতে বসত ঘর নির্মাণের কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু সে সুযোগ গ্রহন না করে তারা মঙ্গলবার জোর পূর্বক ৭ নম্বর সেকশন দখল করে রোপিত চা গাছ উপড়ে ফেলে অবৈধভাবে সেখানে বসত ঘর নির্মাণ করছে। তিনি আরও বলেন, সরাসরি বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করলে উল্টো চা শ্রমিকরা ক্ষেপে যায়। তাই এনটিসির সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন এ ঘটনা তিনি জানেন না। তাছাড়া চা বাগান কর্তৃপক্ষ কোন সহায়তা চাচ্ছে। তাই আপাতত প্রশাসন সে দিকে নজর দিচ্ছে না।