কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
যেদিকে চোখ যায় সেদিকেই শুধু সোনালী ফসলে ভরপুর। মাঠে মাঠে কৃষকদের দিগন্ত বিস্তৃত সোনালী ফসলে প্রকৃতির নিয়মেই নবান্ন সমাগত। নবান্নের আমেজে কৃষকরা হয়ে উঠছেন উৎফুল্ল। নানা দুর্যোগ পেরিয়ে মাঠে মাঠে সোনালী ফসল কৃষকদের ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনার যোগান দিয়েছে। নবান্নের শুরুতে কৃষি অধ্যুষিত মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে কৃষকরা সোনালী ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত হয়ে উঠছেন। কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকরা ধান কাটা শুরু করেছেন।
কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর উপজেলায় মোট ১৭ হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ হয়েছে। প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগের পরও ফসল ভালো হওয়ায় বাম্পার ফলনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কৃষকরাও উৎফুল্ল¬ মনে নবান্ন উৎসবের অংশ হিসাবে উপজেলার শমশেরনগর, পতনঊষার সহ বিভিন্ন স্থানে ফসল তোলা শুরু করেছেন। শমশেরনগর ইউনিয়নের কয়েকটি এলাকা ঘুরে ধান কাটার চিত্র চোখে পড়ে।
মরাজানের পার গ্রামের কৃষক হাফিজ মো. মনিরুদ্দীন এক কিয়ার জমিতে ব্রি-৪৯ জাতের ধান কাটা শুরু করেন। হাফিজ মো. মনিরুদ্দীন বলেন, এবার মাঠে সোনালী ফসলে নতুন রূপ ধারণ করেছে। এক কিয়ার জমির ধান কেটে এগুলো বীজ হিসাবে রাখার চেষ্টা করছি। এই এক কিয়ার জমিতে ১৬ থেকে ১৭ মণ ধান উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার প্রায় ১৮ কিয়ার জমিতে ফসল ভালো হয়েছে। কমলগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রঘুনাথ নাহা এ প্রতিনিধিকে বলেন, উপজেলায় বিচ্ছিন্নভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে। তবে কৃষি বিভাগের সার্বিক নজরদারিতে এবছর ফসল ভালো হয়েছে এবং বাম্পার ফলনও হবে। তাই কৃষকরাও খুশি বলে তিনি দাবি করেন।