ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
আজ কার্তিক মাসের ২২ তারিখ। ক্রমাগত অগ্রাহনের নবান্ন উৎসবের আমেজ ঘনিয়ে আসছে। উৎসব পালন করতে গ্রামাঞ্চলের কৃষান কৃষানিরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাথে সাথে দেশের শীতলতম স্থান শ্রীমঙ্গলে শীতের কনকনে হাওয়া বইতে শুরু করেছে। গ্রামাঞ্চল, চা শ্রমিক জনগোষ্ঠি ও জেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলের মানুষ তীব্র শীতের মোকাবিলা করতে যার যার মতো করে প্রস্তুতি শুরু করেছেন। আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বরাবরের মতো এবারও তীব্র শীত পড়ার আশংকা রয়েছে। এই শীতে চায়ের রাজধানী খ্যাত মৌলভীবাজার জেলার বিশাল চা শ্রমিক জনগোষ্ঠিই বেশি কষ্ট পায়। তীব্র শীত মোকাবেলা করার মতো তাদের সামর্থ নেই। যার ফলে শীতের মৌসুমে তাদের নানা জটিল রোগ দেখা দেয়।
আর এই শীত মুখাবেলায় সরকারি তরফ থেকেও প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। অতীতের রেকর্ড অনুযায়ী প্রতিবছর শীত মৌসুমের প্রথম দিকে মৌলভীবাজার অঞ্চলে ঘন কুয়াশা পড়ে এবং ক্রমাগত এর মাত্রা বাড়তে থাকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মৌলভীবাজারের চা বাগান, হাওর ও পাহাড়ি এলাকায় কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। শীতকে সামনে রেখে জেলার নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ নিজের সামর্থের আলোকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস জানায়, সোমবার শ্রীমঙ্গলের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ছিল ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং শনিবার ছিল ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়া সহকারী জাহেদুল ইসলাম মাছুম বলেন, এখনও তাপমাত্রা উঠানামা করছে। তবে আগামী জানুয়ারী-ফেব্রুয়ারীর দিকে তাপমাত্রা কতটুকু নেমে আসতে পারে তা এখনও বলা যাচ্ছেনা। শীত যত তীব্রই হোকনা কেন শীত মোকাবেলায় সরকারের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে সচেতন নাগরিক সাইফুল ইসলাম বলেন, পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গল দেশের শীতলতম স্থান। এখানে শীত বাড়ার সাথে সাথে পর্যটকদের সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ে। তবে এবার এখনও তেমন শীত অনুভব হচ্ছে না। বিশেষ করে সরকারের কাছে আমাদের দাবি, তীব্র শীতে যাতে চা শ্রমিক জনগোষ্ঠির প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়।
এদিকে দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর, কাউয়াদীঘি হাওর, বড়লেখা, ফুলবাড়ী চা বাগান ও লাউয়াছড়া পাহাড় এলাকার অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ‘সন্ধ্যার পর ও শেষ রাতে কনকনে শীত বইতে শুরু করেছে। রাতে লেফ গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হয়। একই কথা জানিয়েছেন মাতিউরা চা বাগান ও রাজনগর চা বাগানের একাধিক চা শ্রমিক।
মৌলভীবাজার ইম্পিরিয়াল কলেজের প্রভাষক মাহিরুল ইসলাম বলেন, তেমন গরমও না আবার খুব বেশি শীতওনা। এমন অবস্থা এখন চলছে। তবে রাতের শেষ দিকে ক্রমাগত শীত বাড়ছে। লেফ গায়ে দিয়ে ঘুমাতে হয়।