বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজার জেলা ইজতেমা নিয়ে চলমান উত্তেজনা মূলক পরিস্থিতি সমাধানের জন্য উভয় পক্ষকে সমজতার আহবান জানিয়েছেন জেলার বিশিষ্ট আলেমে হযরত মাওঃ মুফতি রশিদুর রহমান (পীর সাহেব বরুনা)। অন্যতায় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রশাসন ও ইজতেমা আয়োজক বৃন্দকে দায় নিতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।
এদিকে সোমবার মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা ইজতেমা বন্ধের দাবি করেন ওলামা পরিষদ। অন্যতায় বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশ, ইজতেমা মাঠ ঘেরাও ও ইজতেমা ময়দানে একই সময়ে ৪দিন ব্যাপি তাফসীরুল কোরআন মাহফিল পালনের ঘোষণাদেন ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবেদকের সাথে একান্ত আলাপকালে মুফতি রশিদুর রহমান বলেন, আলেমদের কর্মসূচি সম্পর্কে আমি অবহিত নয়। াবলিগ নিয়ে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিও টিক নয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কর্মসূচি নিয়ে আলেমরা আমার সাথে মতবিনিময় করেননি। আর আমি মনে করি ইজতেমা আয়োজকরা হয়তো আলেমদের কাছ থেকে দূরে চলে গেছেন। এজন্য আমরা কলে কৌশলে তাদের ধরে রাখার চেষ্টা করছি। হয়তোবা তারা আবার ফিরে আসতে পারেন।
তিনি আরো বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় তাবলিগ জামাত নিয়ে যাথে কোন ফাঠল না ধরে সে চেষ্টা করেছিলাম। উভয় পক্ষকে আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়েছে বিভক্ত না হয়ে এক সাথে কাজ করার জন্য। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।
ইজতেমা হলো তাবলিগ জামাতের একটি বড় জমায়েত। ইজতেমার সিন্ধান্ত হয় বড়দের পক্ষ থেকে। বেশ কিছু দিন আগে লক্ষাধিক আলেমদের একটি সমাবেশ হয়েছিল এবং সেখানে সিন্ধান্ত হয়েছে এবছর জেলায় জেলায় কোন ইজতেমা হবে না। কেন্দ্রীয় ভাবে টঙ্গিতে হবে। কিন্তু কেন উলামা-মাশায়েখদের কথা অমান্য করে মৌলভীবাজারে করা হচ্ছে তা বুঝতে পারলাম না।
এই মুহূর্তে সমাধানের পথ কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি ওসি সাহেব কেও বলেছি, যদি সমাধান চান তাহলে যেহেতু উনারা আশা করে আয়োজন করেছেন এবং জেলা প্রশাসক অনুমতি দিয়েছেন তাই জেলা প্রশাসককের সম্মানার্থে ইজতেমা না বলে এক দিনের দোয়া মাহফিল বলে এটা করা যেতে পারে। তাহলে হয়তো চলমান পরিস্থিতির সমাধান হতে পারে।
এবিষয়ে জেলা তাবলীগ জামায়াতের সূরা সদস্য মইনুল হোসেনর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এটা জেলায় সমঝতার বিষয় নয়। কেন্দ্রীয় ঢাকা কাকড়াইল মারকাজ দু’ভাগে বিভক্ত। এর প্রভাব পড়েছে সারা দেশে। এর আলোকে জেলা মারকাজও দু’ভাগে বিভক্ত। আমাদের পক্ষের কাকরাইলের মুরব্বি সৈয়দ ওয়াসিকুল ইসলাম ও খান শাহাব উদ্দিন নাসিমসহ অন্যান্যদের সিদ্ধান্ত হলো আমরা জেলায় জেলায় ইজতেমা করে এক সাথে ঢাকায় করব। এর আলোকে মৌলভীবাজারের এই ইজতেমা। ইতি মধ্যে দিনাজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী ও ঢাকার জেলা ইজতেমা সমাপ্ত হয়েছে। এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, গতকাল যারা মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এরা তাবলীগ জামায়াতের দায়িত্ব প্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি নয়।