স্টাফ রিপোর্টার:
মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। মন্দিরের পাশাপাশি হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে চলছে এখন উৎসবের আমেজ। ঢাকের ডোল কাঁসার ঘণ্টা, শাঁখের ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠবে সারা দেশের পূজাম-প।
সোমবার মহাষষ্ঠির মধ্যে দিয়ে মৌলভীবাজার জেলায় এবার ৯৯৬টি ম-পে শারদীয় দুর্গা পূজা শুরু হয়েছে। আজ মহা সপ্তমী। এরমধ্যে সর্বজনীন ৮৪২টি এবং ১৫৪টি ম-পে ব্যক্তিগত উদ্যোগে দুর্গাপূজা হচ্ছে।
এর মধ্যে রাজনগরে সার্বজনীন ৭৬টি মন্ডপ আর ব্যক্তিগত ৫৪টি। বড়লেখায় সার্বজনীন ১৩৩টি আর ব্যক্তিগত ১৮টি। কুলাউড়ায় সার্বজনীন ১৯৪টি আর ব্যক্তিগত ২৩টি। জুড়ীতে সার্বজনীন ৬৫টি আর ব্যক্তিগত ৩টি। মৌলভীবাজার সদরে সার্বজনীন ৮৪টি আর ব্যক্তিগত ২৩টি। শ্রীমঙ্গলে সার্বজনীন ১৫৪টি আর ব্যক্তিগত ১৩টি। কমলগঞ্জে সার্বজনীন ১৩৬টি আর ব্যক্তিগত ২০টি পূজামন্ডপ।
তবে এর মধ্যে রাজনগরে উপমহাদেশের একমাত্র লাল দুর্গা দেবীর পূজা হবে। রক্ত বর্ণা দুর্গাকে দেখার জন্য এখানে দেশি-বিদেশি ভক্তের আগমন ঘটেছে। এছাড়াও শ্রীমঙ্গলের দুটি মন্ডপে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। অন্যদিকে জেলার সবচেয়ে বড় পূজামন্ডপ ত্রিনয়নী শিববাড়ীতে ভিন্ন মাত্রা রয়েছে। শিব লিঙ্গের আদলে শিব-বিগ্রহ বিশাল প্যান্ডেল আর ২৫ ফুট উচ্চতার নীল বর্ণের শত নয়না দুর্গা প্রতিমা তৈরি হয়েছে। কুলাউড়া উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী কাদিপুর দূর্গাবাড়ীতে মানুষের ঢল নামে। বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শনার্থীরা পূজা দেখতে এসব জায়গায় ছুটে আসেছেন।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল জানান, শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের লক্ষ্যে চার স্থরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পূজা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তার জন্য মন্ডপগুলোতে আনসার সদস্যদের বাইরেও পুলিশ, ডিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। মন্ডপের আশপাশে র্যাবের সার্বক্ষণিক টহল থাকবে।