স্টাফ রিপোর্টার:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মৌলভীবাজার-৩ আসনে ক্ষমতাশীল দল আওয়ামীলীগে একাধিক প্রার্থী থাকায় দলীয় কোন্দল চরমে। নির্বাচন নিকটবর্তী হওয়ার সাথে সাথে কোন্দলের মাত্রা অনেকটা বাড়ছে। অন্যদিকে এ আসনে ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী নিয়ে আছে রশি টানাটানি।
কেন্দ্র দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা না দিলেও প্রকাশ্যে বড় দুই দলের প্রায় ২ হালি নেতাকর্মী মাঠে নিজেদেরকে দলীয় প্রার্থী বলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। ইতি মধ্যে অনেককেই শহরে পোষ্টার, ব্যানার ও ফেষ্টুন সাটাতে দেখা যাচ্ছে। নানা প্রতিশ্রুতি সম্ভলিত লিফলেট বিতরণ করছেন ভোটারদের মধ্যে। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই জাপাও।
সম্ভাব্য একাধিক প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে “ওমোক ভাই’র পক্ষ থেকে” গত ঈদে ও আসন্ন দূর্গা পূজায় শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। সব মিলিয়ে এরকম প্রায় ডজন খানিক প্রার্থীর নাম আগামী নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় রয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ কোন দল থেকে কে পাবেন দলীয় প্রতীক এবং নির্বাচিত হবেন এমন প্রশ্ন বিরাজ করছে ভোটারদের মাঝে।
এদিকে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে বিএনপিতে বিভক্তি থাকলেও নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজেদের ঘরে ঐক্যের সুর বইছে। ২০১৭ সালে ২৬ মে এম নাসের রহমানকে সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্র। কমিটি ঘোষণার পরপরই রাজপথে পরস্পর বিরোধী মিছিল দেয় উভয় গ্রুপের নেতাকর্মী। একজন অপর জনকে সরকারের দালালও বলেন। কিন্তু নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে বিরোধ কিছুটা হলেও কমে আসছে। গত ৮ অক্টোবর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকের অসুস্থ্য মাকে দেখতে বাড়িতে যান জেলা বিএনপি’র সভাপতি। সভাপতির এই নমনিয়তাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন নেতাকর্মীরা। তবে সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলছেন, এখনও আনুষ্ঠানিক কিছু হয়নি। আলোচনায় বসলে বুঝা যাবে।
জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানা যায়, ওই আসনে ৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ১’শ ৪৭ জন ভোটার এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লক্ষ ১ হাজার ২’শ ২২ জন এবং মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৯৬ হাজার ৯’শ ২৫ জন। এর মধ্যে চা শ্রমিকদের বৃহত্তর একটি ভোট ব্যাংক রয়েছে।
ওই আসন থেকে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী তৈয়োবুর রহিম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধীরা ছিলেন, জাসদের সদরউদ্দিন আহমদ ও ন্যাপের তারা মিয়া। ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এম সাইফুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধীরা ছিলেন, আ”লীগের আজিজুর রহমান, গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী ও ন্যাপের সোলেমান খান। ১৯৮৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন আ”লীগের আজিজুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন, জাপার গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, স্বতন্ত্র হাজী আকল আলী ও জাসদের আলাউর রহমান। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন আ”লীগের আজিজুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ছিলেন, জাপার গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, বিএনপি’র সাইফুর রহমান, জাসদের আব্দুল হক ও নাছির উদ্দিন। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপি’র সাইফুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন, আ”লীগের আজিজুর রহমান, জাপার গিয়াসউদ্দিন চৌধুরী, জামায়াতের সিরাজুল ইসলাম মতলিব, জাসদের আব্দুল হক ও মুসলিম লীগ আব্দুল মতিন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপি’র এম সাইফুর রহমান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন, আ”লীগের আজিজুর রহমান, জাপার সোলাইমান খান, বাসদের মামুনুর রশিদ সোহেল ও স্বতন্ত্র আব্দুল মতিন।
২০০৮ সালে ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৯’শ ২১টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হন আ’লীগের মনোনীত প্রার্থী সৈয়দ মহসিন আলী। তার নিকমতম প্রতিদ্বন্ধি ছিলেন বিএনপির এম সাইফুর রহমান পান ১ লক্ষ ১২ হাজার ৮’শ ৯৫টি, স্বতন্ত্র শামীম আফজাল পান ১ হাজার ৯’শ ৫০টি ও সৈয়দ আবু জাফর পান ১ হাজার ২’শ ৬৫টি।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় আছেন বর্তমান সংসদ সদস্য প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর সহধর্মিনী সৈয়দা সায়রা মহসিন, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ, যগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চেম্বার সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন, সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের ভিপি আব্দুল মালিক তরফদার সুয়েব ও সাবেক বৃটিশ কাউন্সিলর এম এ রহিম (সিআইপি)।
বিএনপি থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকায় আছেন জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ও কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমান। জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্র্থীর তালিকায় রয়েছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ সাহাবউদ্দিন আহমদ ও সৈয়দ নুরুল হক। এদিকে মহাজোট থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী যুক্তরাষ্ট্র জাসদের সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম জিকু। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস থেকে জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আহমদ বিলাল কে চুড়ান্ত মনোনয়ন দিয়েছে। জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ থেকে মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী দলীয় নেতাকর্মীদের কাছে নিজেদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এছাড়াও এখন পর্যন্ত স্বতন্ত্র উল্লেখ যোগ্য কোন প্রার্থীর নাম আলোচনায় আসেনি।
অন্তর দ্বন্দ ও গ্রুপিং এর কারণে আসনটি হাত ছাড়া হতে পারে আওয়ামীলীগের। নির্বাচন নিকটবর্তী হওয়ার সাথে সাথে আওয়ামীলীগের দ্বন্ধ মাথা ছাড়া দিয়ে উঠছে। যা পূর্বে ছিলনা। আগে ভীতরে ভীতরে থাকলেও এখন প্রকাশ্যে জেলা আওয়ামীলীগরে গ্রুপিং রাজনীতি। প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিনর আলীর সহধর্মীনি মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসিন, জাতীয় কমিটির সদস্য মোঃ ফিরোজ ও জেলা আওয়ামলীগীরে সহ-সভাপতি মসুদ আহমদ সহ তাদের বলয়ে রয়েছে আওয়ামলীগের একটি অংশ। জেলা আওয়ামীলীগরে সভাপতি নেছার আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান ও পৌর মেয়র ফজলুর রহমান সহ তাদের বলয়ে রয়েছে বৃহত্তর অপর অংশ। উভয় গ্রুপ পৃথক পৃথক পালন করে দলীয় ও জাতীয় কর্মসূচি। সম্প্রতি গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রয়াত সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী ছিল। ওই দিন মহসিন আলী বলয়ের নেতাকর্মীরা কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া ও আলোচনা সভা করলেও সভাপতি বলয়ের নেতাকর্মীরা তাতে অংশ গ্রহণ করেনি। এ থেকে দলীয় গ্রুপিয়ের বিষয়টি আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। এদিকে বর্তমান এমপি সৈয়দা সায়রা মহসিনের মেয়ে সৈয়দা সানজিদা শারমিনের অশুভ আচরণ ও প্রশাসনিক কাজে হস্তেক্ষেপের অভিযোগ রয়েছে। এটাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন না তৃণমূলের নেতাকর্মী ও ভোটাররা। তবে সৈয়দা সানজিদা শারমিন অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করেন।
আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ট ও নিরপক্ষ হলে ঐতিহ্যবাহী এই আসনটি আবারও বিএনপি তাদের দলীয় কোন্দলের কারণে হারাতে পারে বলে মন্তব্য করছেন দলের তৃণমূলের একাধিক নেতাকর্মী। কোন্দল নিরসনে কেন্দ্র একাধিকবার উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। সর্বশেষ গত ৮ এপ্রিল কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান এর নেতৃত্বে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল মৌলভীবাজার আসেন। স্থানীয় একটি অভিজাত রেষ্টুরেন্টে উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করে বিভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান করেন তিনি। কিন্তু কেন্দ্রের কমান্ড মানেননি জেলার নেতৃবৃন্দ। যার ফলে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জেলা নেতৃবৃন্দের উপর ক্ষোব্ধ। জেলা বিএনপির গ্রুপিংকে কেন্দ্র করে যুবদল, ছাত্রদল, সেচ্ছাসেবকদল সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন দুই ধারায় বিভক্ত।
এদিকে বড় দলের বিভক্তির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় তৃতীয় শক্তি। সাবেক রাজনগর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান ও জেলা খেলাফত মজলিসের সাধারণ সম্পাদক আহমদ বিলাল নিজেকে ২০ দলের প্রার্থী দাবি করে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেছেন। এনিয়ে গত ৪ অক্টোবর তিনি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। গত ২২ মার্চ মৌলভীবাজার পৌর শহরের বেরিরপার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জনসমাবেশ করে খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ ইসহাক আহমদ বিলালকে প্রার্থী ঘোষণা করেন এবং নেতাকর্মীদের মাঠে তার পক্ষে কাজ করার নির্দেশ দেন।
মেয়ের অশুভ আচরণ ও প্রশাসনিক কাজে হস্তেক্ষেপের বিষয়টি অস্বীকার করে সৈয়দা সায়রা মহসিন বলেন, আগামীতেও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চাই। দেশের অন্যান্য সংসদীয় আসনের চেয়ে উন্নয়নের দিক দিয়ে মৌলভীবাজার অনেক পিছিয়ে এমন প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন, আমি রাজনীতিতে নতুন এসেছি। সবার সাথে পরিচয় ও সম্পর্ক হতে সময়ের প্রয়োজন। আগামীতে নির্বাচিত হলে পরিকল্পিত উন্নয়ন হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি এম নাসের রহমান বলেন, মৌলভীবাজার-৩ আসন থেকে দল আমাকেই মনোনয়ন দেবে এবং ধানের শীষের বিজয় হবে। দলীয় গ্রুপিং নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা এমন প্রশ্নর জবাবে তিনি বলেন, বৃহত্তর একটি দলে ২/১ জন আগাছা থাকতে পারে। এটা ভোটের মাঠে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নেছার আহমদ দলীয় কোন্দলের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মনোনয়ন পেতে অনেকেই মাঠে কাজ করছেন। দল যাকেই মনোনয়ন দিবে সকল নেতাকর্মী নৌকাকে বিজয়ী করতে তার পক্ষে কাজ করবে।
কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সদস্য ও মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আব্দুল মালিক তরফদার সুয়েব বলেন, মুজিব সৈনিক হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর মিশন ও ভিশন বাস্তবায়ন করতে এবং বাংলাদেশকে একটি উন্নয়নশীল দুর্নীতিমুক্ত দেশ হিসেবে ঘটন করতে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি। বর্ণাঢ্য রাজনীতিক জীবনে দলের আদর্শ ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো কাজের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না। সততাকে পুঁজি করে আমৃত্যু মুজিব সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চাই। জাতীয় নির্বাচনে দল যাকেই মনোনয়ন দেয় না কেন নৌকাকে বিজয় করতে সকল শক্তি দিয়ে চেষ্টা করব।
সাবেক বৃটিশ কাউন্সিলর, ওয়ান ইলিভেনের কারা নির্যাতিত ও শিক্ষানুরাগী এম এ রহিম (সিআইপি) বলেন, ২০০৬ সাল থেকে একাধিক জাতীয় নির্বাচন থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বিরত থেকেছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন পূরণ এবং সোনার বাংলাদেশ গড়তে আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে অংশ গ্রহণ করতে চাই।
জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ সাহাবউদ্দিন আহমদ বলেন, আগামী একাদশ নির্বাচনকে সামনে রেখে এরশাদের হাতকে শক্তিশালী করতে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। দলের সিদ্ধান্তের আলোকে আমরা কাজ করব।
মাওলানা আহমদ বিলাল বলেন, আওয়ামীলীগের দূর্গ ভাঙতে হলে ২০ দলীয় জোট থেকে বিএনপি’র প্রার্থী দিয়ে সম্ভব নয়। কারণ তাদের জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে সাপে নেউলে সম্পর্ক। এক্ষেত্রে খেলাফত মজলিস থেকে ২০ দলের প্রার্থী দিলে ঐতিহ্যবাহী আসনটি ফিরিয়ে আনা সম্ভব।