শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে থেকে ময়লার ভাগাড়র অপসারণ ও ময়লা ফেলা বন্ধের দাবীতে টানা ৮দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে আছে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার একামাত্র ময়লার ভাগাড়টি। ময়লা ফেলার বিকল্প স্থান না থাকার কারনে পৌর শহর থেকে ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করছে না পৌরসভা। এ কারণে প্রতিদিনকার জমে উঠে বর্জ্যে পর্যটন নগরী শ্রীমঙ্গল শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে জমে উঠছে ময়লার পাহাড়। দুর্গন্ধময় ও ময়লা – আবর্জনায় ভরপুর শহরের এ মলিন অবস্থায় পর্যটকসহ এলাকাবাসীর জীবনযাত্রা বিষিয়ে উঠছে।
এ পরিস্তিতিতে সংকট সমাধান গতকাল সোমবার বিকেল ৫টায় জেলা প্রশাসক তার কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পক্ষকে নিয়ে আরোচনায় বসেন। আলোচনায় আপাতত এই ভাগাড়েই ময়লা ফেলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ছয়মাসের মধ্যে ভাগাড় অন্য জায়গায় ফেলা হবে।
এদিকে গতকাল দুপুরে কলেজ সড়ক এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্টানে সামনে পৌরসভার ময়লা ভাগাড়টি বাঁশের খুঁটি দিয়ে বন্ধ করে রেখেছে শিক্ষার্থীরা। ফলে পৌরসভার কোনো ময়লার গাড়ি সেখানে যেতে পারছে না । শহরের চৌমুহনা চত্বর, সিন্ধুরখাঁন সড়ক, কলেজ সড়ক, কালিঘাট সড়ক, হবিগঞ্জ সড়ক, মৌলভীবাজার সড়ক, মিশন সড়ক, শাপলাবাগ, মাস্টার পাড়ার মুখ সহ বিভিন্ন স্থানে গত সাত দিন ধরে ময়লা জমে দূর্গন্ধ বেরোচ্ছে।
শ্রীমঙ্গল সিন্ধুরখাঁন সড়কের বাসিন্দা আরাফাত বলেন, ৮দিন ধরে পৌরসভার পরিচ্ছন্নকর্মীরা শহর থেকে ময়লা না নেয়ার কারণে শহর জুড়ে একটা বিশ্রী অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। সামনে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচাইতে বড় ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপূজা। পুজা উপলক্ষে পরিবার -পরিজন নিয়ে কেনা কাটা করতে শহরমুখী হচ্ছেন গ্রাম ও চা বাগান এলাকা থেকে আসা মানুষ। শহরের দোকানপাট ও রাস্তাঘাটের সামনে থেকে ময়লাÑআবর্জনা সরানোর প্রয়োজন।
শ্রীমঙ্গল পৌরসভা প্যানেল মেয়রÑ২ মীর এম এ সালাম বলেন, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্টানের সামনে ভাগাড় টিনের বেড়া দিয়ে ময়লা ফেলা হবে।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নজরুল ইসলাম বলেন, বুধবার থেকে কলেজ সড়কের পৌরসভার ময়লা ভাগাড়ে ময়লা ফেলা হবে। আপাতত শিক্ষাপ্রতিষ্টানের সামনে ভাগাড় টিনের বেড়া দিয়ে ময়লা ফেলা হবে। ছয়মাসের মধ্যে ভাগাড় অন্য জায়গায় ফেলা হবে।