ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি আসাদ হোসেন মক্কু ও তার সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের বিরোদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাতে শহরের মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাতে দুই প্রার্থীর মিছিলকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে সেখান থেকে বিরোধী প্রার্থী ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. পিন্টু আহমদ ও তার অনুসারীরা অপর কাউন্সিলর প্রার্থী আসাদ হোসেন মক্কুর উপস্থিতিতে তার প্রধান নির্বাচনী অফিসে হামালা চালায়। হামলায় নির্বাচনী দুটি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও তার ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার ভাঙ্গচুর করা হয়েছে।
কাউন্সিলর প্রার্থী আসাদ হোসেন মক্কু বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা হামলা করে। প্রথমে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমার মাথা লক্ষ করে হামলা চালালে তা প্রতিহত করে এক সমর্থক আব্দুল বাছিত। দায়ের কোপে তার হাতের দুটি আঙ্গুল কেটে যায়। এসময় তাদের আক্রমনে আরও চার জন গুরুত্বর আহত হয়। এদের মধ্যে বিলাল মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকীরা মৌলভীবাজার-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
এবিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসিনুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।