ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
রাত পুহালেই (শনিবার) মৌলভীবাজার পৌরসভার নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ফের বিজয়ী হতে ৩নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর নাহিদ হোসেন সাধারণ ভোটারদের প্রলোভন দেখিয়ে টাকা দিয়ে ভোট কিনার গুঞ্জণ উঠেছে। বিশেষ করে ওই ওয়ার্ডের নি¤œ শ্রেণীর ভোটারকে তিনি টাকার বিনিময়ে কাবো করছেন। অবাধে কালো টাকার ছড়াছড়িতে ক্ষুব্ধ ওয়ার্ডের সচেতন ভোটাররা। তবে প্রতিদ্বন্দ্বি ২জন প্রার্থীও বিজয়ী হতে মরিয়া। তারাও রাত দিন হাড় ভাঙ্গ পরিশ্রম করে ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়েছেন।
নির্বাচন অফিস জানায়, পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান কাউন্সিলর মোহাম্মদ নাহিদ হোসেন, রাসেল আহমদ ও মো. রুবেল আহমদ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত সময়ে কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করায় নিজের একটা বলয় তৈরি করেছেন কাউন্সিলর নাহিদ হোসেন। সেই বলয় থেকেই কাউকে চাপ সৃষ্টি করে আবার কারো কাছ থেকে টাকা দিয়ে ভোট কিনছেন নাহিদ। তবে ভোট কেন্দ্রে কি হবে তা নিয়ে সন্দেহিত ভোটাররা।
পৌরসভার একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, পৌরসভা থেকে বড় অংকের টাকা খরচ করে নাহিদ হোসেন উনার বাড়ির ব্যক্তিগ রাস্তা পাকা করেছেন। অথচ উনার ওয়ার্ডের বনবীথি সহ কয়েকটি এলাকায় শত শত পরিবার বাস করলেও ওই রাস্তা গুলো মেরামত করা হয়নি। এলাকাবাসী একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে উনার সাথে কথা বললেও তিনি আমলে নেননি।
ওয়ার্ডের কয়েকজন ভোটারের সাথে কথা হলে তার বলেন, ৭/৮ মাস আগে ত্রাণ দেয়ার কথা বলে ওয়ার্ডের ২০০/২৫০ জন লোককে জড়ো করেন উনার বাসায়। পরবর্তীতে আমাদের ত্রাণ না দিয়ে মোবাইলে নগদের একাউন্ট করান।
৩নং ওয়ার্ডের ভোটার সৈয়দ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কাউন্সিলর থাকার সুবাধে নাহিদ হোসেনকে জেলা জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সদস্য করা হয়। দীর্ঘ দিন তিনি ওই কমিটিতে থাকায় অনেক অনিয়ম হয়। পরবর্তীতে মুসল্লিরা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করলে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারণে ওই তদন্ত আর আলোর মুখ দেখেনি।
প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী রাসেল আহমদ ও মো. রুবেল আহমদ বলেন, কালোটা বন্ধ হলে এবং নিরপেক্ষ ভোট হলে বিজয়ী হব নিশ্চিত। তবে আমরা আশংকা করছি প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর সমর্থকরা কেন্দ্র দখল করে ভোট লুট করবে।
এ বিষয়ে জানতে বর্তমান কাউন্সিলর নাহিদ হোসেনের ব্যবহৃত মোঠুফোনে শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ১০টা ১০ মিনিট পর্যন্ত একাধিকবার ফোন দিলে উনার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
জেলা অতিরিক্ত রিটার্নিং অফিসার বলেন, কালো টাকা বিতরণের প্রমাণ কেউ দিতে পারলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব। তবে ভোট কেন্দ্র দখল হওয়ার কোনো আশংকা নেই।