ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার পৌর শহরের সোনাপুর এলাকায় মাহমুদ এইচ খান নামের এক সাংবাদিকের বাসায় ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুল ইসলাম তুষারের হাতে এক তরুণী ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের শিকার তরুণী ধর্ষক তুষারের বাল্যবন্ধু বলে জানা গেছে। মাহমুদ এইচ খান সংবাদ ২৪ নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের সম্পাদক।
এ ঘটনায় সোমবার দুপুরে ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। মামলায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিস্কৃত) সজীব তুষারকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলায় জেলা বাসদ নেতা আইনজীবী রায়হান আনসারী ও নারী সুরক্ষা আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা মার্জিয়া প্রভাকে ধর্ষকের সহযোগী উল্লেখ করা হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন মৌলভীবাজার মডেল থানা ওসি ইয়াছিনুল হক। তিনি বলেন, তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাংবাদিক মাহমুদ এই খানের ফেইসবুক স্ট্যাটাস ও মামলার এজহার থেকে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট বন্ধুরা মিলে মাহমুদের বাসায় ঈদ পূর্ণমিলনী পার্টির আয়োজন করে। বন্ধুদের এই আয়োজনে যুক্ত হন মাহমুদের বন্ধু নারী অধিকার কর্মী মারজিয়া প্রভা, তার প্রেমিক ছাত্র ফ্রন্ট মৌলভীবাজার জেলার সাবেক নেতা বর্তমান শ্রমিক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আনসারি। তাদের সাথে পার্টিতে নিয়ে আসেন ছাত্র ফ্রন্টের মৌলভীবাজার জেলা কমিটির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক কবি সজিবুল ইসলাম তুষারকে। তুষারের সাথে সে পার্টিতে যুক্ত হয় তারই বাল্য বন্ধু ধর্ষণের শিকার মেয়েটি। পার্টিতে ব্যাপক খাওয়া-দাওয়া ও আড্ডা হয়। এক পর্যায়ে তারা গাজা টানেন। মেয়েটির অনিচ্ছা সত্যেও তুষার থাকে ধর্ষণ করে।
এদিকে নৈতিক স্খলন ও দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডের জন্য বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল বাসদের জেলা কমিটির বর্ধিত ফোরামের সদস্য রায়হান আনছারী ও ছাত্র ফ্রন্টের জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সজিবুল ইসলাম তুষারকে দলীয় সকাল প্রকার সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এই ঘটনার সাথে জড়িত মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সহযোগী সদস্য মাহমুদ এইচ খানকেও প্রেসক্লাব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে মার্জিয়া ও আনসারী জানান, সাংবাদিক মাহমুদ ফেসবুকে যে অভিযোগ তুলে পোস্ট দিয়েছেন তা ভ্রান্ত এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ফেসবুকে দেয়া পোস্ট তার নিজের মতামত এবং আংশিক সত্য।
ধর্ষণের শিকার নারী বলেন, পরিবার ও নিজের মানসম্মান এবং সামাজিক অবস্থানের কথা চিন্তা করে মামলা করিনি। পরিবারকে জানানোর পর তারা মামলা করতে সম্মতি দেয়নি। পরে দেখলাম আমাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। ধর্ষণের ঘটনাটিকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। তখন মারাত্মক আঘাত পেয়েছি। তাই পরিবারের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মামলা করেছি। আশা করছি, সঠিক বিচার পাব।