স্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার দুঘর শ্রীমতি উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার পদে নিয়োগের কথা বলে ওই বিদ্যালয়ের খন্ডকালি শিক্ষক বাবলী রাণী দেবী’র সাথে ৩ লক্ষ টাকার চুক্তি করার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এরশাদ মিয়ার বিরুদ্ধে। টাকা লেনদেরনের বিষয়টি পরিচালনা কমিটির অন্যান্য সদস্য ও এলাকাবাসী জানার পর উপজেলা জোড়ে গুঞ্জন শুরু হয়। পরে ১৫ অক্টোবর বৈঠকে বসে এর ইতি টানা হয়।
একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, সেপ্টেম্বর মাসের ১৫ তারিখ সদর উপজেলার দুঘর শ্রীমতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার নিয়োগ আহ্বান করা হয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ওই বিদ্যালয়ের খন্ডকালিন শিক্ষিকা বাবলী রাণী দেবী সহ ৯ জন চাকুরি প্রত্যাশি আবেদন করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এরশাদ মিয়া বাবলীকে চাকুরি দেবেন বলে বাবলীর স্বামী অরুণের সাথে ৩ লক্ষ টাকার চুক্তি করেন। সভাপতি এরশাদ ওই টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকা নাজিরাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সোলেমান আহমদকে দেয়ার কথা বলেন। এরশাদের কথা অনুযায়ী বাবলী’র স্বামী অরুণ সোলেমান আহমদ এর বাসায় নগদ ১ লক্ষ টাকা নিয়ে যান। সোলেমান আহমদ টাকা না রেখে অরুণকে আটকে রাখেন এবং পরবর্তীতে কমিটির সদস্যদের অবগত করে অরুণকে বাসা থেকে বিদায় করেন। বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি’র সদস্য ও স্থানীয়দের মধ্যে জানাজানি হলে অরুণ সোলেমান আহমদ এর বাসায় গিয়ে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য ক্ষমা চান। পরবর্তীতে ১৫ অক্টোবর বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কমিটির সদস্য ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সোলেমান আহমদ এর বাড়িতে বৈঠক বসে পূণরায় অরুণের বড় ভাই অভিনাষ ক্ষমা চান। বৈঠকে উপস্থিত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির একাধিক সদস্য বলেন, সভাপতি এরশাদ মিয়া অরুণকে সোলেমান আহমদ এর বাসায় টাকা দিয়ে পাঠিয়েছেন বলে বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।
এবিষয়ে বাবলী রাণী দেবী’র স্বামী অরুণ টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, এর জন্য আমি ক্ষমা চেয়েছি।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এরশাদ মিয়া টাকা চুক্তি’র বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, অরুণ নিজ থেকে সোলেমান আহমদ এর বাসায় টাকা নিয়ে গেছে, আমি বলিনি।
নাজিরাবাদ ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান সোলেমান আহমদ বলেন, কমিটির সদস্যরা বসে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছেন। অরুণ ও তার ভাই অভিনাষ ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়েছে।
প্রধান শিক্ষক বিনয় কুমার দেব বলেন, এরকম একটি বিষয় শুনেছি। কিন্তু আমি সিলেটে থাকায় বৈঠকে উপস্থিত হতে পারিনি। আমার দুজন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।