স্টাফ রিপোর্টারঃ হাইকোর্টের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মৌলভীবাজারের রাজনগরে শালকাটুয়া ও মাঝের বান্দ জলমহাল ইজারা দিলেন ইউএনও। এনিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকেও খাস আদায় কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই আদেশও মানেননি রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসি আক্তার। এদিকে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসন হাইকোর্ট ও জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা না মানার কারণ তলব করেছে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে।
জানা যায়, গত ১৫ অক্টোবর জেলা প্রশাসনের রাজস্ব শাখা থেকে রাজনগরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি)র কাছে আদেশ প্রেরণ করা হয়। আদেশে উল্লেখ করা হয়, হাইকোর্টের ৯২৯৯/২০১৯নং রিট পিটিশন মামলায় আদালতের ১৪ অক্টোবর আদেশে ৬ মাস স্থিতাবস্থা বজায় রাখা এবং জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত জলমহাল দুটির খাস আদায় কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়।
এমনকি এই রিট পিটিশন হাইকোর্টে রোল জারির পর শাহ মুরাদ মৎসজীবী সমবায় সমিতি লি: এর সাধারণ সম্পাদক মো. পিন্টু সুলতান জলমহাল দুটির ইজারা কার্যক্রম ৬ মাসের জন্য স্থগিত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারি ভূমি অফিসারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন জলমহাল দুটির খাস কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশ দেন। কিন্তু অদৃশ্য কারণে গত ১০ অক্টোবর দুপুরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে দরপত্র আহ্বান করে উপজেলা ভূমি অফিস এবং ১৫ অক্টোবর দুপুরে গুলশান মৎসজীবি সমবায় সমিতি লি. ও আল বারাকা মৎসজীবি সমবায় সমিতি লি: কে ইজারা প্রদান করা হয়। একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের দাপটের কারণে এই জলমহাল দুটি ইজারা দেয়া হয়েছে।
এবিষয়ে রাজনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফেরদৌসি আক্তার বলেন, এ সংক্রান্ত হাইকোর্টোর কোনো কাগজ আমার কাছে আসেনি। স্থগিত রাখার জন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা এসেছে ১৫ অক্টোবর বিকাল ৫টায় কিন্তু আমি ওই দিন ৩টার মধ্যে খাস কালেকশনের কাজ সমাপ্ত করি।
জেলা প্রশাসক বেগম নাজিয়া শিরিন বলেন, বিল দুটি কেন খাস কালেকশনের জন্য ইজারা দেয়া হয়েছে এর কারণ দর্শানোর নোটিশ ইউএনওকে দিয়েছি।
Post Views:
0