কমলগঞ্জ প্রতিনিধি:
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে দ্বিতীয় ধাপ ১৮ মার্চে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র যাছাই অনুষ্ঠিত হয় আজ বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় মৌলভীবাজার জেলা রিটানির্ং অফিসার জেলা নির্বাচন অফিসারের কার্যালয়ে। যাছাই বাচাইকালে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের মনোনিত প্রার্থী ১জন, ওয়ার্কাস পার্টির মনোনিত ১ জন,ভাইস চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত ১ জন ও স্বতন্ত্র ১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ৪ প্রার্থীর মনোনীন বাতিলের ঘোষণা দেন। যাছাইবাচাই শেষে জেলা রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম চেয়ারম্যান পদে ব্যাংক ঋণ খেলাপী দেখিয়ে আওয়ামীলীগ প্রার্থী (বর্তমান চেয়ারম্যান) অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। চেয়ারম্যান পদে ওয়ার্কাস পার্টির প্রার্থী আব্দুল আহাদকে আয়কর রিটার্ন জমা না দেওয়ায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। একই সাথে ব্যাংক ঋণ খেলাপীর কারণে (বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান) ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. ছিদ্দেক আলী মনোনয়পত্র বাতিল করেন। অন্যদিকে একই পদে প্রার্থীর পক্ষে ২৫০ জন ভোটারের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বরসহ স্বাক্ষরিত পত্রটিতে জালিয়াতির কারণে জয়নাল আবেদীনের মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষণা করেন। মৌলভীবাজার জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ মঞ্জুরুল আলম চেয়ারম্যান পদে ২ প্রাথী ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এখন প্রার্থীরা আপিলের সুযোগ পাবেন। কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদে মনোনয়ন বাতিল হওয়া আওয়ামীলীগ প্রার্থী অধ্যাপক মো. রফিকুর রহমান বলেন, তিনি ঋণ খেলাপী নন। তিনি ঋণ পরিশোধ করেছেন আগেই। তবে ব্যাংক থেকে সঠিক কাগজ গিয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে পৌঁছেনি। ব্যাংকের কাগজপত্র তিনি নিজেও জমা করেছেন। এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে প্রতিবেদন আসার কথা। তিনি প্রয়োজনে আপিল করবেন বলেও জানান। একই কথা জানান মনোনয়ন বাতিল হওয়া ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. ছিদ্দেক আলী।