ষ্টাফ রিপোর্ট:
রাজনগর সংসদীয় আসন পুনর্বহাল ও সার্বিক উন্নয়ন কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের গুণীজন সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার বিকেলে অলিলা গ্রুপের সহায়তায় রাজনগর সরকারি কলেজ মাঠে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, উন্নয়ন চিন্তাবিদ, পরিবেশকর্মী ও পিকেএসএফ (ঢাকা) এর সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু কর্ণারের প্রতিষ্ঠাতা এবং অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শামস্-উল ইসলাম, রাজনগর সংসদীয় আসন পুনর্বহাল ও সার্বিক উন্নয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের উপদেষ্টা ও অলিলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী।
ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, অতীতের স্বর্ণালী ইতিহাসের সেই রাজনগরকে আবারও ইতিহাসে দাঁড় করাতে হবে। সে জন্য সকলের প্রতি আহ্বান থাকবে রাজনগর সংসদীয় আসন পুনর্বহাল ও সার্বিক উন্নয়ন সংসদকে আপনারা সাদরে গ্রহণ করুন। সম্মিলিতভাবে এ অঞ্চলের সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধারে সমবেত হবার সময় এখন।
অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শামস-উল ইসলাম বলেন, রাজনগর তথা এই সুবিশাল জনপদটি সুদূর অতীতকাল থেকেই অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সমৃদ্ধিতে অন্য অনেক জনপদ থেকে অগ্রসর ছিলো। কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক কুটচাল এবং যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে রাজনগর তথা এ সংসদীয় আসনের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা একেবারে শোচনীয় পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে।
রাজনগর সংসদীয় আসন পুনর্বহাল কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের উপদেষ্টা ও অলিলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে রাজনগর নানান সময় রাজনৈতিক কূটচালের শিকার হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে এই আসনে অনেকেই নির্বাচিত হয়েছেন, আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু মোটাদাগে কেউ-ই রাজনগরের কোনো পরিবর্তন করতে পারেননি। রাজনগরের মানুষের ভোটাধিকার ফিরে পেতে, রাজনগর-কমলগঞ্জবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে এই আসনটি আবারও দেয়া প্রয়োজন।
এ ছাড়া বক্তারা বলেন- জাতীয় সংসদে মৌলভীবাজার মহকুমায় আসন ছিল ৫টি। এর মধ্যে রাজনগর উপজেলার (তৎকালীন থানা) প্রশাসনিক কাঠামোকে কেন্দ্র করে “২৩৩ সিলেট – ১৪” নামে একটি নির্বাচনী আসন ছিল। স্বাধীনতা পূর্ববরর্তী ১৯৭০-ইং সালের নির্বাচনে উল্লেখিত আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মরহুম তোয়াবুর রহিমের পক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এসে বত্তৃতা দিয়েছিলেন। রাজনগরের টেংরা বাজারে আয়োজিত আওয়ামী লীগ-এর এই নির্বাচনী জনসভায় বঙ্গবন্ধুর ভাষণটি আজও এলাকার প্রবীণদের হৃদয়ে কিংবদন্তির কবিতা হয়ে আছে।
অনুষ্ঠানে জেলায় কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীসহ সমাজের নানা স্তরের মানুষ ছিলেন। পরে একটি মনমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।