ষ্টাফ রিপোর্টার
বিষপ্রয়োগে ১৩ টি বিপন্ন প্রজাতির শকুনের মৃত্যু হয়েছে মৌলভীবাজারের একাটুনা ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামে। এর সাথে মারা গেছে বেশ কয়েকটি শিয়াল, কুকুর ও বিড়াল।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ধানে ক্ষেত্রের জমির মধ্যে পড়ে আছে তিনটি মৃত পচে যাওয়া শকুন। এর আশপাশে পড়ে আছে মৃত কয়েকটি শিয়াল, কুকুর, ও বিড়াল। ঘটনা¯’লেই পড়ে আছে তিনটি ফেনথোয়েট উপাদান যুক্ত সেমকাপ নামের কিটনাশকের বোতল। যেগুলো গত কয়েকদিন ধরে জমিতে পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন ¯’ানীয়রা।
¯’ানীয়রা জানান, কয়েক দিন ধরে এলাকায় শিয়ালের উৎপাত বেড়ে ছিল। অনেক ছাগল খেয়েছে শিয়াল। এলাকার কে বা কারা মৃত ছাগলের উপর বিষ প্রয়োগ করে শিয়াল মারার জন্য ৫ থেকে ৬দিন আগে টোপ দেয় সদর উপজেলার একাটুনা ইউনিয়নের বড়কাপন গ্রামের বুড়িকোনা ক্ষেতের জমিতে। বিষয়টি জানাজানি হলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজন এলাকায় গিয়ে উপ¯ি’ত হন।
গ্রামবাসী আব্দুস সালাম বলেন, আমি কয়েকদিন আগে এখানে একটি মৃত ছাগল দেখেছিলাম। এরপর কিছুদিন আগে দেখতে পাই অনেকগুলো শকুন মরে পড়ে আছে।
বন্যপ্রাণী ব্যব¯’াপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কোমার মিত্র বলেন, কে বা কারা এমন নিষ্ঠুর কাজ করেছে তাদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে আমরা ঘটনা তদন্ত করছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হ”েছ শিয়াল মারার জন্য বিষ প্রয়োগে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা¯’ল থেকে আমরা ১০টি মৃত শুকুন উদ্ধার করে পরীক্ষা নিরিক্ষার জন্য সিলেট ল্যাবে পাঠিয়েছি। আজ এসে আরো ৩টি মৃত শকুন পেয়েছি। আশপাশে আরো মৃত শিয়াল, কুকুর ও বিড়াল পড়ে আছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা ধারণা করছি বিষ প্রদানের কারণে শকুনের মৃত্যু হয়েছে। তবে আরো নিশ্চিত হতে পারবো যখন সিলেট থেকে রিপোর্টগুলো আসবে। এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে ও ঘটনা¯’ল পরিদর্শন করে এটা নিশ্চিত হতে পেরেছি যে এখানে একটি ছাগল মারা গেছিল। ছাগলে বিষ দেয়া হয়েছে,
Post Views:
0