ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোতাহার বিল্লাহ’র অনিয়মের তদন্ত ভিন্ন ক্ষাতে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিজে ফোন করে শিক্ষকদের কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নিচ্ছেন। তদন্ত কর্মকর্তার এমন কান্ডে শিক্ষক ও জেলার সচেতন মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, দৈনিক যুগান্তরে সংবাদ প্রকাশের ভিত্তিতে বিগত ১ ফেব্রুয়ারী মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোতাহার বিল্লাহ’র অনিয়মের তদন্ত কমিটি ঘটন করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয় সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কিশালয় চক্রবর্তী’কে।
উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে কর্মরত একাধিক শিক্ষক জানান, ১৫ ফেব্রুয়ারী আলী আমজাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পিঠা উৎসবে লামাকাগাবলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চঃ দাঃ) ধনেশ্বরী সিনহার কাছ থেকে প্রত্যয়নপত্র নেন তদন্ত কর্মকর্তা কিশালয় চক্রবর্তী। পরবর্তীতে বেকামুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাপলা দত্ত কেও ফোন করে তদন্ত কর্মকর্তার অফিসে নিয়ে আরেকটি প্রত্যয়নপত্র নেন। একটি দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, ওই দুই শিক্ষক ছাড়াও আরও কয়েকজন শিক্ষকের কাছ থেকে তদন্ত কর্মকর্তা প্রত্যয়ন নিয়েছেন।
এবিষয়ে প্রত্যয়ন প্রদানকারী লামাকাগাবলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চঃ দাঃ) ধনেশ্বরী সিনহা বলেন, “পিঠা উৎসবের দুই দিন আগে কিশালয় চক্রবর্তী স্যার আমাকে ফোন করে বলেন, মোহাম্মদ মোতাহার বিল্লাহ আপনার বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে তো কোনো টাকা নেননি। আপনি মোহাম্মদ মোতাহার বিল্লাহ’কে কোনো টাকা দেননি এরকম একটি প্রত্যয়নপত্র দেন। কিভাবে দেব জানতে চাইলে স্যার বলেন, ১৫ ফেব্রুয়ারী আলী আমজাদ স্কুলের পিঠা উৎসবে আমাকে পাবেন। স্যারের কথা মতো পিঠা উৎসবে গিয়ে প্রত্যয়নপত্র দেই।
বেকামুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাপলা দত্ত বলেন, “কিশালয় চক্রবর্তী স্যার আমাকে ফোন করে প্রত্যয়নপত্র দেয়ার কথা বলেন। পরবর্তীতে আমি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে প্রত্যয়নপত্র দেই।
ভোক্তভোগী শিক্ষক, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও অভিভাবকরা বলেন, “অভিযুক্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোতাহার বিল্লাহ’কে বাঁচানোর জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তা নানা কৌশল অবলম্বন করছেন। যা সম্পন্ন অনৈতিক। নিরপেক্ষ তদন্ত না হলে আন্দোলনের হুশিয়ারী দেন সংশ্লিষ্টরা।
এবিষয়ে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কিশালয় চক্রবর্তী বলেন, তদন্তের স্বার্থে ডিপিও মহোদয়ের পরামর্শে আমি কয়েকজন শিক্ষকের কাছ থেকে প্রত্যয়ন নিয়েছি।
এবিষয়ে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শামছুর রহমান বলেন, তদন্তকারী কর্মকর্তা এরকম করার কথা নয়। খোঁজ নিয়ে দেখতেছি।