ষ্টাফ রিপোর্টার
এ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন না থাকায় কামাল উদ্দিন আহমদ নামের এক রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় মৃত্যু ব্যক্তির ছেলেকে মারধর ও ছুড়িকাঘাত করে আহত করে এ্যম্বুলেন্সের ড্রাইভার সাদিক মিয়া ও খালেদ মিয়া সহ তাদের সহযোগীরা। ২৫ অক্টোবর মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের সামনে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। এঘটনায় মৃত্যু ব্যক্তির ছেলে মোঃ শিপু মিয়া মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নিহতের পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা এলাকার মোঃ শিপু মিয়ার পিতা কামাল উদ্দিন আহমদ হঠাৎ শ্বাস কষ্ট জনিত কারণে অসুস্থতাবোধ করায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসার জন্য মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে উন্নত চিকিৎসার জন্য অক্সিজেন সহকারে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এক পর্যায়ে সাদিক মিয়ার এ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করেন করা হয়। সাদিক মিয়ার এ্যাম্বুলেন্সে রোগী উঠানোর পূর্বে এ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন আছে কিনা জিজ্ঞাসা করলে অক্সিজেন আছে মর্মে নিশ্চিত করা হয়। এ্যাম্বুলেন্সে রোগী তোলার পর শ্বাস কষ্টের সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় অক্সিজেন লাগানোর জন্য বলা হলে সাদিক জানান অক্সিজেন নেই। পরে অক্সিজেনের অভাবে গাড়ির ভীতরেই মারা যান কামাল উদ্দিন আহমদ। এনিয়ে বেশ কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে এ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার সাদিক মিয়া ও খালেদ মিয়া সহ তাদের সহযোগীরা কামাল উদ্দিন আহমদের ছেলে শিপু মিয়াকে বেদরক পেটায়। এক পর্যায়ে তার মাথায় ছুড়িকাঘাত করে। স্থানীরা আহত শিপু মিয়াকে মৃত পিতার লাশের পাশ থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করান। এ্যম্বুলেন্সের ড্রাইভার খালেদ মিয়া এবং সাদিক মিয়া মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালের সামনে প্রাইভেট এ্যাম্বুলেন্সের চালক। তারা ভাড়ায় এ্যাম্বুলেন্স চালায়।
স্থানীয় ভোক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ হামলাকারীরা হাসপাতাল এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করে রেখেছে। রোগীদের জিম্মি করে রমরমা বাণিজ্যে ব্যস্থ তারা।
এবিষয়ে আহত মোঃ শিপু মিয়া বলেন, হামলাকারীরা হাসপাতালের সামনে থানার পাশেই প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে। কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। এপর্যন্ত ঘটনা তদন্তের জন্য পুলিশ আমাকে একটি ফোন দেয়নি। ন্যায় বিচার নিয়ে সংস্কিত তিনি।
এ্যাম্বুলেন্স চালক সাদিক মিয়া বলেন, আমার গাড়িতে অক্সিজেন ছিল। রোগীর অবস্থা খারাপ থাকায় আরও বেশি অক্সিজেনের প্রয়োজন। তখন সাথে সাথে আমি আরেকটি অক্সিজেন আনতে গেলে রোগীর ছেলে আমার গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর এবং আমাকে গালিগালাজ করেন। এসময় হাসপাতালের ফুল বাগানের এঙ্গেল উনার মাথায় লেগে ফেটে যায়। পরবর্তীতে তারা মানবকল্যাণের এ্যাম্বুলেন্সে করে রোগীকে সিলেট নিয়ে যাওয়ার পথে প্রেসক্লাব মোড়ে মারাযান।
এবিষয়ে এ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, গতকাল আমরা বসেছি। এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। আজ আবার বসব। সমাধানের চেষ্টা চলছে।