ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
প্রায় দুই যুগ ধরে বন্ধ রয়েছে মৌলভীবাজার জেলার হাওর ও চা বাগান বেষ্ঠিত কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক্সরে মেশিন। এতে উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষ ভোগান্তি পোহাচ্ছেন। বিশেষ করে ভোগান্তি পোয়াতে হচ্ছে উপজেলায় হাওর পারের দিন মজুর মৎস্য জিবি ও চা বাগানে খেটে খাওয়া চা-শ্রমিক সহ নিন্ম আয়ের মানুষরা।এখানকার মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এরকম একটি জনগুরুত্বপূর্ণ হাসপাতালে ব্যবস্থাপনার অভাবে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে একমাত্র এক্সরে মেশিনটি। এটি ঠিক করতে কর্তৃপক্ষের ঘুম ভাঙেনি দীর্ঘ২৪ বছরেও।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে আউটডোরে সেবা নেয়া রোগীর সংখ্যা ৩০০ থেকে ৪০০ জন, ইনডোরে ভর্তি রোগী ৪৫-৫০ জন এবং জরুরি বিভাগে সেবা নেয়া রোগীর সংখ্যা প্রায় ২০০ জন। সব মিলিয়ে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৬০০ রোগী স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসেন। তাদের মধ্যে অনেকের এক্সরে করানোর প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু অনন্যপায় হয়ে জেলা সদর কিংবা প্রাইভেট প্রতিষ্টানে গিয়ে প্রয়োজনীয় এক্সরে সেবা নিতে হয়। এতে কুলাউড়া উপজেলার মানুষের অর্থ ও সময় উভয় বেশি খরচ করতে হয়।
সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান, সরকারিভাবে এক্সরে সেবা বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোয় এক্সরে করাতে হয়। এতে প্রতিটা এক্সরে বাবদ গুনতে হয় প্রায় চার-পাঁচশ টাকা। তারা হাসপাতালে দ্রুত এক্সরে সেবাটি চালু করে সাধারণ মানুষের সরকারি সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোজাকির হোসেন বলেন, আমি যোগদানের পর থেকে এক্সরে মেশিনটি বন্ধ দেখে আসছি। তবে টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে এই সেবাটি বন্ধ রয়েছে। হাসপাতালে টেকনিশিয়ান নিয়োগ দেওয়ার জন্য নিয়মিত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা পত্র পাঠাচ্ছি।