ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পলিসি লঙ্গন করে ৬ বছর ধরে মৌলভীবাজার যুব ইউনিটের যুব প্রধানের চেয়ারে বসে আছেন কামরুল ইসলাম মুন্না। দীর্ঘ দিন যাবত একই ব্যক্তি যুব প্রধানের দায়িত্বে থাকায় ইউনিটে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না। যুব প্রধান কামরুল ইসলাম মুন্নার আত্মীয় করণে সক্রিয় যুব সদস্যরা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। যার ফলে ভেঁঙ্গে পড়েছে যুব কার্যক্রম। কোনো যুব সদস্য প্রতিবাদ করলে কামরুল ইসলাম মুন্না পরিকল্পিত ভাবে তাকে সরিয়ে দেন।
এদিকে যুব প্রধান-১ হিসেবে যুব প্রধান কামরুল ইসলাম মুন্নার স্ত্রী সানজিদা শহিদ সৌরভী রয়েছেন। মুন্না বিদায় নেয়ার পরই স্ত্রীকে যুব প্রধান বানানোর পরিকল্পনা রয়েছে। শালিকা ফাহমিদা শহিদ সুইটি এবং বাতিজা মিজানুর রহমান দুটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে রয়েছেন।
যুব পলিসির ধারা ৩.১ বলা হয়েছে, একজন শিক্ষার্থী ৩০ বছর বয়স পর্যন্ত যুব রেড ক্রিসেন্টে কাজ করার সুযোগ পাবেন। ৩০ বছরের বেশি হলে যে কেউ যুব রেড ক্রিসেন্টের সদস্য পদ লাভ করতে পারবে না। ৬ নং ধারায় বলা হয়েছে একজন যুব প্রধানের কার্যকাল হবে ২ বছর এবং এক কার্যকালের জন্য যুব প্রধানের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। অথচ বর্তমান যুব প্রধান কামরুল ইসলাম মুন্না ৩৭ বছর বয়স পর্যন্ত একাধারে ৩ বার যুব প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
সাবেক যুব প্রধান আব্দুল আহাদের কাছ থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালে তিনি বিদায় নেয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত কামরুল ইসলাম মুন্না যুব প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।
সাবেক যুব প্রধান উপানন্দ বর্মণ বলেন, এক টার্মের (২ বছর) বেশি সময় যুব প্রধান থাকা যুব পলিসি পরিপন্থি। কিন্তু বর্তমান যুব প্রধান ক্ষমতার প্রভাবকাটিয়ে একাধারে ৬ বছর ধরে যুব প্রধানের চেয়ারে বসে আছেন। যার কারণে নতুন নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না। ভেঁঙ্গে পড়েছে যুব রেড ক্রিসেন্টের কার্যক্রম। সাবেক যুব প্রধান সুরঞ্জিত দাশ চৌধুরী সহ অনেকেই বলেন, যুব প্রধানের কাজ নতুন নেতৃত্ব তৈরি করা। কিন্তু একই ব্যক্তি বারবার যুব প্রধান হওয়ায় নতুন নেতৃত্ব তৈরি হচ্ছে না। যুব পলিসির বাহিরে তাদের ইচ্ছামাফিক মৌলভীবাজার যুব ইউনিট পরিচালিত হচ্ছে।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার যুব রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির যুব প্রধান কামরুল ইসলাম মুন্না বলেন, সারাদেশে এরকম অনেক ইউনিটেই ৬/৭ বছর যাবত একই ব্যক্তি যুব প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। নির্বাহী কমিটি আমাকে যুব প্রধান রাখায় দায়িত্ব পালান করছি। আমাকে বাধ দিয়ে নতুন কমিটি করলে আমি সরে যাব।
এবিষয়ে রেড ক্রিসেন্ট মৌলভীবাজার ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রাধাপদ দেব সজল বলেন, নতুন ভবনের কাজের জন্য বর্তমান কমিটিকে রাখা হয়েছে। এখানে ব্যক্তি বিষয় না। যারা কাজ করবে তাদেরকেই অগ্রাধিকার দেয়া হবে। আগামী জেলা পরিষদ নির্বাচন পরে নতুন যুব ইউনিট সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে।