হোসাইন আহমদ, মৌলভীবাজারঃ
‘জলস্তম্ভ’ হচ্ছে জল দিয়ে মোড়ানো বাতাসের তৈরি পিলার। টর্নেডোর ফলে এটি সৃষ্টি হয়। জলভাগের উপর শক্তিশালী টর্নেডো সৃষ্টি হলে প্রবলবেগে ঘূর্ণায়মান বায়ুর টানে জলভাগের জল টর্নেডোর কেন্দ্র বরাবর স্তম্ভাকারে ঘুরন্ত অবস্থায় উপরে উত্থিত হয়। একে জলস্তম্ভ (ডধঃবৎ ঝঢ়ড়ঁঃ) বলে।
তবে গ্রামাঞ্চলে এটি মেঘশূর নামে পরিচিত, একে ধ্বংসের প্রতীকও মনে করেন অনেকে।
দেখতে টর্নেডোর মতো হলেও টর্নেডোর সাথে এর মৌলিক পার্থক্য উপাদানে। টর্নেডোতে থাকে বায়ু আর জলস্তম্ভে বায়ুর পরিবর্তে থাকে পানি। জলস্তম্ভ সাধারণত পানিতেই থাকে বলে জনপদে আহামরি ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালাতে পারে না। আর স্থলভাগের স্পর্শে আসলে এটি গুড়িয়ে যায়।
শনিবার বিকেলে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ হাকালুকি হাওরের মৌলভীবাজারের জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলা অংশে এমন জলস্তম্ভের দেখা মিলে। হাকালুকিতে এমন দৃশ্য খুবই বিরল। এটা সংগঠিত হওয়ার পর মূহুর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। ওই জলস্তম্ভকে অলৌকিক দৃশ্য বলে অনেকে মন্তব্য করছেন।
জুড়ী উপজেলার বাসিন্দা কুতুব উদ্দিন জসিম জানান, “এমন দৃশ্য বেশ কয়েকবছর আগে হাকালুকিতে দেখা গিয়েছিল বলে শুনেছি। এরপর এমন ঘটনা আজই দেখলাম। জলস্তম্ভ দ্বারা কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি। বিকেলে প্রায় ১ ঘন্টা অবস্থানের পর অন্ধকারে বিলীন হয়ে যায় ওই জলস্তম্ভ।