হোসাইন আহমদ, মৌলভীবাজারঃ
মৌলভীবাজারে একাধিক সরকারি অফিসে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) ব্যবহার করা হচ্ছে। আবার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অনেক অফিসে অপ্রয়োজনীয় সময়ে, সকালে কিংবা রাতে বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বলতে দেখা যায়। সরকার যেখানে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার কথা বলছে সেখানে সরকারি এসব দপ্তরে দেদারছে বিদ্যুৎ অপচয় করায় জেলার সচেতন মহলে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ১৫ মার্চের পরিপত্র (স্মারক নং ০৫.০০.০০০০.১২২.০৬.০০১.১৬-৫৪) অনুযায়ী সচিব, অতিরিক্ত সচিব, যুগ্নসচিব, উপসচিব ও সিনিয়র সহকারী সচিব/সহকারী সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তাদের এসি ব্যবহারের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু সরকারের এই নির্দেশনাকে তোয়াক্কা না করে মৌলভীবাজারে অনেক সরকারি অফিসে এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) ব্যবহার করা হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্যবহারের নিয়ম না থাকার পরেও এসি রয়েছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা এলজিইডি অফিস, মৌলভীবাজার মডেল থানা, রাজনগর থানা ও শ্রীমঙ্গল থানা সহ বেশ কয়েকটি অফিসে এসি ব্যবহার করা হচ্ছে।
এদিকে সরেজমিন মঙ্গলবার সকাল ৫.৫৫ মিনিট থেকে ৬.১৫ মিনিট পর্যন্ত পৌর শহরে অবস্থিত সড়ক সার্কেল, ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়, সার্কিট হাউজ, সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়, পরিবেশ অধিদপ্তর, গণপূর্ত ভবণ, বিদ্যুৎ ভবন, জেলা ইপিআই ভবন, সিভিল সার্জনের অফিস, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতাল ও গণপূর্ত উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর সরকারী বাস ভবন সহ অনেক অফিসেই একাধিক বৈদ্যুতিক বাতি জ্বলতে দেখা যায়। এদিকে সোমবার রাত ৯.২৫ মিনিটে মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের মূল ফটক ও পার্শ্ববর্তী সীমানা দেয়ালে প্রায় ১’শটি বাতি জ্বলতে দেখা যায়।
এসময় স্থানীয় একাধিক ব্যক্তিদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, অনেক অফিস বিকালে বন্ধ করার সময় বাতি জ্বালিয়ে রাখা হয় এবং পরের দিন ১০টায় অফিস খোলার পর বন্ধ করা হয়। অফিস স্টাফদের অবহেলায় এমনটি হয় হলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরীনা রহমান বলেন, উপজেলা পরিষদের ফান্ড থেকে এলজিইডি অফিসে এসি লাগানো হয়েছে। তবে এলজিইডি অফিসার এসি ব্যবহার করতে পারেন কিনা সে বিষয়টি আমার জানা নেই।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া বলেন, উপজেল পর্যায়ে ওসিদের কার্যালয়ে এসি ব্যবহারের সরকারি কোনো নিয়ম নেই। তবে ওসির কার্যালয়ে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষ যান। তাদেরকে উন্নত সেবা দেয়ার জন্য কেউ কেউ এসি ব্যবহার করেন। তবে আমরা এ কাজে ওসিদের উৎসাহিত করিনা।