বিশেষ প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারে সরকারি ও বেসরকারী অফিস এবং ব্যাংক-বীমা সহ প্রায় সিংহ ভাগ প্রতিষ্টানে টাঙানো নেই সিটিজেন চার্টার। প্রতিষ্টান প্রধানদের অবহেলায় ব্যহত হচ্ছে সরকারের তৃনমূলে সু-শাসন প্রতিষ্টার এই মহতি উদ্যোগ। আবার অনেক কর্মকর্তা সিটিজেন চার্টার সম্পর্কে অবগতও নয়। নেই স্পষ্ট ধারণা। অথচ নিয়ম রয়েছে প্রত্যেক সরকারি অফিসের মূল ফটকে সিটিজেন চার্টার টাঙানো থাকবে।
অফিস সংস্থা গুলোতে সিটিজেন চার্টার না থাকায় প্রতিনিহত হয়রানি স্বীকার হচ্ছেন অফিসে সেবা নিতে আশা লোক। এই সুযোগে একটি সংঙ্গবদ্ধ চক্র গ্রামের সহজ সরল মানুষকে জিম্মি করে টাকা আদায় করছে। জেলা ঘুরে দেখা যায় বিশেষ করে সরকারি ও বেসরকারী ব্যাংক গুলো সরকারের এই নির্দেশনা মানতে উদাসিন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবহেলায় এমনটি হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
সরেজমিন দেখা যায়, সদর উপজেলার পরিসংখ্যান, প্রাথমিক শিক্ষা, পল্লী উন্নয়ন, যুব উন্নয়ন, এলজিইডি, মাধ্যমিক শিক্ষা, পল্লী উন্নয়ন ব্যাংক, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনার কার্যালয়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় ও গণপূর্ত অফিস সহ দুই তৃতীয়াংশ অফিসে সিটিজেন চার্টার নেই। এদিকে জেলার রাজনগর উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ও ভুমি সহকারী কমিশনারের কার্যালয় ছাড়া অন্য কোনো সরকারি-বেসরকারি অফিস ও ব্যাংক গুলোতে নেই সিটিজেন চার্টার। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
সরেজমিন সংবাদ সংগ্রহের সময় স্থানীয় অফিস প্রধানদের সাথে সিটিজেন চার্টারের বিষয়ে কথা হলে সরকারের এই মহতি উদ্যোগের বিষয়ে দায়সাড়া জবাব দেন। আবার অনেক কর্মকর্তার সিটিজেন চার্টার সম্পর্কে ধারণাও নেই।
জেলার সচেতন নাগরিকরা বলেন, অনেক অফিসারই দুনর্ঁীতির সাথে জড়িত। তাই তারা দুর্নীতি ডাকতে এবং কাজের চাপ কমাতে পরিকল্পিতভাবে সিটিজেন চার্টার টাঙাননি। তাদের দায়িত্বহীনতার কারণে আমরা সরকারের দেয়া নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।
এবিষয়ে রাজনগর উপজেলার সমাজ সেবা অফিসে সেবা নিতে আশা ডিপলু মিয়া সহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, সিটিজেন চার্টার না থাকায় সরকারের দেয়া সেবা প্রতিশ্রুতি থেকে আমরা বঞ্চিত। সেবা সম্পর্কে আমরা অবগত না থাকায় সরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি না। রাজনগর উপজেলার কৃষি ব্যাংকে সেবা নিতে আশা শাওন বলেন, সিটিজেন চার্টার থাকলে সরকারের সেবা সম্পর্কে জানতে পারতাম। সিটিজেন চার্টার না থাকায় ব্যাংক ঋণের বিভিন্ন সুবিধা সম্পর্কে আমরা অবগত হতে পারিনি। সদর উপজেলার বিভিন্ন অফিসে সেবা নিতে আশা আয়শা বেগম, রহিম উদ্দিন ও লিটন দে বলেন, বেশির ভাগ অফিসের সামনে সিটিজেন চার্টার নেই। অথচ সরকারি সেবা নিতে চাইলে কর্মকর্তারা টালবাহানা করেন। সিটিজেন চার্টার থাকলে কর্মকর্তারা আমাদের সেবার বিষয়ে ভুল ব্যাখা দিতে পারতেন না।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, সরকারি প্রত্যেকটি অফিসের সামনে সিটিজেন সার্টার থাকা আবশ্যক। সরকারি এই নির্দেশনা কোনো কর্মকর্তা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।