আদালত প্রতিবেদকঃ
বিয়ানীবাজার সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল আমিন হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছে। যেকোন দিন আলোচিত এ হত্যাকান্ডের রায় ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। দীর্ঘ ২ মাস বাদী-স্বাক্ষী এবং উভয় পক্ষের আইনজীবিদের যুক্তিতর্ক শেষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারপতি গতকাল (২ জানুয়ারী) মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান রাখেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবি,সরকারী প্রসিকিউটর এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সাংবাদিকদের বলেন,বিএনপির ক্যাডার ফয়েজ,রেদওয়ান ও নাজিম উদ্দিন ছাত্রলীগ নেতা আল আমিন হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ ও যুক্তি আমরা আদালতে উপস্থাপন করেছি। আদালত আমাদের যুক্তিগুলো শুনেছেন। আমরা আসামীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছি। আমরা আশাবাদী যে,আসামীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হবে। নিহতের পরিবার ও সহপাঠিরা আদালতের কাছ থেকে ন্যায় বিচার পাবেন।
এদিকে,মামলার কার্যক্রম শেষে রায়ের ক্ষণ শুরু হওয়ায় শংকিত হয়ে পড়েছে আসামীদের পরিবার। মামলায় অভিযুক্ত স্বজনদের মৃত্যুদন্ডের রায় হতে পারে-এমন ভয়ই কাজ করছে তাদের মধ্যে। বিয়ানীবাজার থেকে আমাদের নিজস্ব রিপোর্টার তাওহীদ আসামীদের স্বজনদের বাড়ি ঘুরে এসে জানান,ফয়েজ-রেদওয়ান এবং নাজিমের বাড়িতে কান্নার রোল চলছে। ফয়েজের মা-বাবা সন্তানের জীবননাশের আশংকায় আহাজারি করছেন। রেদওয়ানের বাড়িতে পীনপতন নিরবতা। নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস ছোট্র মেয়েকে নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাবার বাড়ি। স্বামীর জীবনের চিন্তার পাশাপাশি নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়েও তিনি শংকিত। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে অপহরণ করে ধর্ষণ করার হুমকি দিচ্ছে বলে সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ করেছেন।
উল্লেখ্য,২০১৮ সালের ২০ মার্চ রাতে বিয়ানীবাজারের লাসাইতলায় বিএনপি কর্মীদের হামলায় নিহত হন কলেজ ছাত্রলীগের সম্পাদক আল আমিন (১৯)। এ ঘটনায় ২২ মার্চ নিহতের পিতা আতাউর রহমান খান বাদী হয়ে ছাত্রদল ও বিএনপির ৫ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় স্বাক্ষী করা হয় উপজেলা ছাত্রলীগের ৪ নেতাকে। পুলিশ ২০১৮ সালের ২৫ নভেম্বর ৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। অভিযুক্ত ফয়েজ আহমদ,রেদওয়ান হোসেন,নাজিম উদ্দিন এবং শিব্বির আহমদ একই উপজেলার যুবদল-ছাত্রদল কর্মী। তারা বর্তমানে পলাতক।