ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ভারসাম্যহীন এক প্রিজাইটিং অফিসারের কান্ডে প্রার্থী, এজেন্ট ও ভোটারদের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কোনো প্রদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। যার কারণে ভোটারদের মধ্যে নানা প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, দুপুর ২টার দিকে সদর উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইটিং অফিসারের কক্ষ বন্ধ করা ছিল। সন্দেহ হলে গনমাধ্যম কর্মীরা দরজায় বেশ কয়েক বার নক করলে প্রিজাইটিং অফিসার আবু ফাত্তাহ তুহিন বের হন। দরজা বন্ধের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “স্মোক করছিলাম”। এ সময় তার সাথে কথা বলে অনেকটা ভারসাম্যহীন মনে হয়। এদিকে এ ঘটনার ২০ মিনিট পূর্বে প্রিজাইটিং অফিসার একটি বুথের ব্যালেট ভর্তি বক্স তার কক্ষে নিয়ে আসতে চাইলে এজেন্টরা বাঁধা দেন। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তিনি ব্যালেট বক্স বুথে রাখতে বাধ্য হন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রিজাইটিং অফিসার আবু ফাত্তাহ তুহিন মৌলভীবাজার পলিটেকনিক ইনিস্টিটিউটের কম্পিউটার বিভাগের বিভাগী প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এবিষয়ে কয়েকজন এজেন্টদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, প্রিজাইটিং অফিসার অনেকটা জোরে ব্যালেট বক্স তার কক্ষে নিয়ে যেতে চেয়ে ছিলেন। অনেক তর্কবিতর্ক করে তার কাছ থেকে বক্স রাখা হয়। তারা আরও বলেন, প্রিজাইটিং অফিসারের মুখের লম্বা গোফ, মাথার লম্বা চুল এবং কথা বার্তার ধরণ দেখে তাকে ভারসাম্যহীন মনে হয়।
প্রিজাইটিং অফিসার আবু ফাত্তাহ তুহিন বলেন, “আমি ঝুজে উঠতে পারিনি। আমার মাথায় কাজ করেনি”। দরজা বন্ধ করে সিগারেট পানের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা আমার ভুল হয়েছে”।
এ সময় ওই ভোট কেন্দ্রে অবস্থানরত কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশেকুল হক বলেন, দরজা বন্ধ করে সিগারেট খাওয়া কোনো অবস্থাতেই ঠিক নয়। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এক পুলিশ সদস্য দিয়ে দরজা খোলে রাখেন।