ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ সফাত আলী সিনিয়র ফাযিল মাদ্রাসায় পদোন্নতিতে সরকারি বিধিমালা লঙ্গন করার অভিযোগ উঠেছে। এতে জ্যেষ্ঠ ৪ জন প্রভাষকদের পদোন্নতিতে থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এ ঘটনায় পদোন্নতি বঞ্চিত সিনিয়র প্রভাষক মোঃ আব্দুল আহাদ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও পদোন্নতি বঞ্চিত শিক্ষকদের কাছ থেকে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১৫ এপ্রিল নিয়োগ হয় মোঃ আব্দুল আহাদের। এদিকে পদোন্নতি প্রাপ্ত প্রভাষক দেবাশীষ পালের নিয়োগ হয় ২০০৪ সালের ৮ ডিসেম্বর। দেবাশীষ পালের নিয়োগের একই তারিখে প্রভাষক সেলিম আহমদ চৌধুরী ও মোঃ ছালেহ আহমদ এর নিয়োগ হয় এবং দেবাশীষ পালের আগে তাদের এমপিওভুক্তি হয়। সিনিয়র প্রভাষক মোঃ আব্দুল আহাদের দেড় বছর পরে দেবাশীষ পালের নিয়োগ হলেও অধ্যক্ষ অদৃশ্য কারণে ওই ৩জন প্রভাষককে ডিঙ্গিয়ে দেবাশীষ পালকে পদোন্নতির সুযোগ করে দেন।
এ বিষয়ে পদোন্নতি বঞ্চিত ও অভিযোগকারী প্রভাষক মোঃ আব্দুল আহাদ বলেন, সকল শিক্ষকদের সিনিয়র হয়েও আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সমন্বয়ে প্রভাষক দেবাশীষ পালকে পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
পদোন্নতি বঞ্চিত প্রভাষক মোঃ ছালেহ আহমদ বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রভাষক মোঃ আব্দুল আহাদের পদোন্নতি হওয়ার কথা থাকলেও উনাকে করা হয়নি। আমার পরে এমপিওভুক্তি থাকার পরেও দেবাশীষ পালকে করা হয়েছে। পরবর্তীতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সহ শিক্ষকরা বসে নতুন কোডে বেতন না তোলার জন্য দেবাশীষ পালকে অনুরোধ করলেও তিনি কথা রাখেন নি।
পদোন্নতি প্রাপ্ত প্রভাষক দেবাশীষ পাল বলেন, বিধিমালা অনুযায়ী আমি আবেদন করেছি এবং হয়েছে। প্রভাষক মোঃ আব্দুল আহাদের পদোন্নতি কেন হলো না আমি জানি না। আপনার পূর্বে এমপিওভুক্তি হওয়ার পরেও অপর ৩জনের জন্য অধ্যক্ষ সুপারিশ না করেও আপনার জন্য করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা অধ্যক্ষ ভালো জানেন। তবে তারা সবাই পদোন্নতির যোগ্য।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন, বিধি অনুযায়ী উভয়ের পদোন্নতির জন্য আবেদন করা হয়। এতে প্রভাষক দেবাশীষ পালের পদোন্নতি হলেও মোঃ আব্দুল আহাদের হয়নি। এখানে পক্ষপাতিত্ব বা কাউকে বঞ্চিত করার প্রশ্নই উঠেনা।