ষ্টাফ রিপোর্টারঃ মৌলভীবাজারে তেল নিয়ে তেলেছমাতি করছেন মদন মহন পাল নামের একজন অসাধু ব্যবসায়ী। সাধারণ গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করে ওজনে কম দিয়েও অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মদন মোহন ইতিমধ্যে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছে পরিণত হয়েছেন। তার তেলেছমাতিতে নিঃস্ব হচ্ছেন গ্রামের হত দরিদ্র ও সাধারণ ক্রেতারা। শহরের সচেতন গ্রাহককে এড়িয়ে গ্রামের সহজ সরল গ্রাহককে পুঁজি করেই মদনের রমরমা বাণিজ্য।
অনুসন্ধানে জানা যায়, মৌলভীবাজার পৌর শহরের পশ্চিম বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মদন মহন পাল দীর্ঘ দিন যাবত অবৈধ পথে ওজনে কম দিয়ে জয়া সুয়াবিন ও মোহনা পাম ওয়েল মোড়কীকরণ (মোরকজাত) করে জেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলে এবং সিলেট ও হবিগঞ্জের একাংশে বিক্রি করছেন। ৫ লিটার তেলের বোতলে প্রায় ৫০০ গ্রাম, ২ লিটারের বোতলে প্রায় ২০০ গ্রাম, ১ লিটারের বোতলে প্রায় ১০০ গ্রাম ও ৫০০ গ্রামের বোতলে প্রায় ৫০ গ্রাম ওজনে কম দিচ্ছেন। এতে ঠকা খাচ্ছেন লক্ষ লক্ষ হতদরিদ্র ক্রেতা। এভাবে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন মদন মোহন। তার এই অপকর্ম সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অগোচরে।
জানা যায় কিলো গ্রামে ১ লিটার সুয়াবিন তেলে ০.৯১৫ গ্রাম হয়। জয়া সুয়াবিন তেলের লেবেলে ১ লিটার লেখা তাকলেও অনুসন্ধানে দেখা গেছে বোতলের ওজন সহ ৮.৫০ থেকে ৮.৮০ গ্রাম। বোতলের ওজন বাদ দিলে তেল থাকে ৮০০ গ্রাম। ১ লিটারি বোতলের আনুপাতিক হারে ৫০০ গ্রাম, ২ লিটারি, ৫ লিটারি বোতলগুলোতেও কম রয়েছে তেল। স্থানীয় বাজারে ব্যবসায়ীরা মদনের তেল বিক্রি করতে গিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের তোপের মুখে পড়ছেন।
রাজনগর উপজেলার দিনমজুর শহিদ, সাদিক ও লকুছ সহ একাধিক গ্রাহক বলেন, আমরা খেটে খাওয়া দিনমুজুর। সারাদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে ৩০০/৪০০ টাকা আয় করি। বাজারে জয়া ও মোহনা তেল কিনলে দেখা যায় অতিরিক্ত দাম আবার ওজনেও কম। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি ওজনে কম দিয়ে তেল মোড়ক জাত করে বিক্রেতাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
একাধিক মুদি দোকানদার বলেন, মদন মোহনের এস আর’রা ওজনে কম তেল থাকা বোতল বিক্রি করে যাচ্ছেন। কেউই তাদের বাধা দিচ্ছেন না।
জয়া সুয়াবিন ও মহনা পাম ওয়েল মোরকজাতকরণ প্রতিষ্টানের স্বত্বাধিকারী মোদন মোহন পাল ওজনে কম দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, অন্যান্য কোম্পানি দাম কম রাখে। তাদের সাথে ভারসাম্য রাখতে ওজনে কম দিয়ে দাম কম রাখি। তবে আগামীতে এরকম হবে না।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আল-আমিন বলেন, অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।