ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর জামে মসজিদ মোতাওয়াল্লীর পরিচালনা কমিটি ও অপর পরিচালনা কমিটির মধ্যে মসজিদ পরিচালনা নিয়ে ২৩ এপ্রিল শুক্রবার নামাজের পূর্বে মসজিদের ভীতরে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়। এতে মসজিদের মুয়াজ্জিন আমান মিয়া গুরুত্বর আহত হন। মুসল্লিরা তাকে তাৎক্ষণিকভাবে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মোতাওয়াল্লীর নিযুক্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল কালাম মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা এডভোকেট হাফেজ আব্দুল আলিম ১৯৮৫ সালে ৪০৩ নং দলিল মূলে মসজিদের নামে ০.০৭৫০ একর ভুমি দান করেন এবং তাকে মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত করা হয়। মসজিদটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এলাকার মুসল্লিরা নিয়মিত নামাজ আদায় করছেন। চলতি বছরের গত ২১ মার্চ বাংলাদেশ ওয়াক্ফ প্রশাসন এডভোকেট হাফেজ আব্দুল আলিমকে মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত করেন।
২০২০-২১ইং সনে মোতাওয়াল্লী হাফেজ আব্দুল আলিম সভাপতি ও আবুল কালামকে সাধারণ সম্পাদক করে একটি কমিটি করা হয়। প্রতিপক্ষ বেলাল মিয়াকে সভাপতি ও সুফিয়ান মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে অপর একটি কমিটি ঘোষনা করেন। দীর্ঘ দিন যাবত তাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি কমিটির মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে।
লিখিত অভিযোগ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুমি দাতা হাফেজ আব্দুল আলিম বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসন কর্তৃক মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হওয়ার পর ২৩ এপ্রিল জুম্মার নামাজের পূর্বে বিষয়টি পূণরায় মসল্লিদের অবগত করেন। এ সময় তার প্রতিপক্ষ কমিটির সহ-সভাপতি জরিফ মিয়া বলেন তার কমিটির ছাড়া এই মসজেিদ স্থান নেই। একথা বলার পর কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, মসজিদের মুয়াজ্জিন আমান মিয়া, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কালাম, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য কাজল মিয়া, মুজাহিদ মিয়া ও মুয়াজ্জিনের ছেলে ছাকিব আহমেদ।
প্রতিপক্ষ কমিটির সভাপতি বেলাল মিয়া বলেন, এই দিন আমি মসজিদে ছিলামনা শুনেছি এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। তবে আমরা মসজিদের উন্নয়নের জন্য এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাই।
মোতাওয়াল্লী এডভোকেট হাফেজ আব্দুল আলিম বলেন, কমিটির সহ-সভাপতি জরিফ মিয়া, তাদের সহযোগী তারেক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সুফিয়ান মিয়া, সভাপতি বেলাল মিয়া ও সাবেক ইমাম আব্দুল ওয়াহিদের নির্দেশে এ হামলা হয়। তিনি আরও বলেন, মসজিদ প্রতিষ্ঠার পর আমি পুকুর ভরাট, অজুখানা ও ভাউন্ডারী সহ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজ করিয়ে যাচ্ছি।
এবিষয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) মশিউর রহমান বলেন, মসজিদের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। হামলার ঘটনায় মামলা হলে তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।