বিশেষ প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান সালেক মিয়ার ভাই জুনেদ মিয়া’র (৪০) অবস্থা অশংকাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতাল থেকে ঢাকায় নেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ১১ রাউন্ড ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে। শুক্রবার রাত ১০ টায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাজনগর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়। পরে জেলা সদর থেকে পুলিশের বিশেষ একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বিকাল ৩টায় বাজারে মাছ কিনতে যান মুন্সিবাজার ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া। এ সময় মুন্সিবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাহেল মিয়ার গ্রামের (নোয়াটিলা) বসর মিয়া’র সাথে কথাকাটাকাটি হয়। বসর মিয়া কথাকাটাকাটির বিষয়টি সম্ভাব্য চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাহেল মিয়ার কাছে এসে বলেন। তখন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাহেল মিয়া মাছ বাজারে গিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ছালেক মিয়াকে গালিগালাজ করেন। এটি জানতে পারেন ছালেক মিয়া। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এবং পূর্ব বিরোধের জেরে উভয় পক্ষ ভীতরে ভীতরে সংঘর্ষের প্রস্তুতি নেন। রাত ৮টার দিকে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়াতে চাইলে পুলিশ উভয় পক্ষকে দুই দিকে বিদায় করে দেয়। পরে বাজারের সকল দোকান বন্ধ করে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের পুলিশ বিদায় করে দেয়। ১০টার দিকে ফের উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তখন উভয় পক্ষের লোকেরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করেন এবং গুলি ছুড়েন। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত বাজার ও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, আগামী ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উভয়ের নেতাকর্মী ও অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। যার জেরে এই ঘটনা ঘটে।
তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম জানা যায়নি।
বিষয়টি জানতে বর্তমান চেয়ারম্যান ছালেক মিয়া ও চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী রাহেল মিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল দিলেও তারা রিসিভ করেননি।
রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসেম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছে। তবে কয়জন আহত হয়েছেন এখনও সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।