ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মুজিব শতবর্ষে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আখাইলকুড়া ইউনিয়নের গোলাপগঞ্জ এলাকায় গৃহহীনদের জন্য ৪২টি ঘর নির্মাণ করছে সদর উপজেলা প্রশাসন। সম্প্রতি ওই ঘরের ভূমি রেজিস্ট্রির নামে উজেলার নানখার তহশীল অফিসের তহশীলদার মিছবাহ উদ্দিন প্রত্যেকের কাছ থেকে ২ হাজার টাকা আদায় করছেন। ইতিমধ্যে কয়েকজন ঋণ করে টাকা দিয়েছেন। অন্যান্যদের টাকা দেয়ার জন্য তহশীলদার ফোনে বারবার চাপ দিচ্ছেন। টাকা না দিলে ঘর না দেয়ারও হুমকি দিচ্ছেন তিনি। এনিয়ে অসন্তুষ্ট উপকার ভোগীরা।
এবিষয়ে উপকার ভোগী সিরাজ ও ফয়জুল সহ অনেকের সাথে কথা হলে তারা বলেন, নানখার তহশীল অফিসের তহশীলদার মিছবাহ উদ্দিন প্রত্যেককে ফোন করে ২ হাজার ৫’শ টাকা দেয়ার কথা বলেন। পরবর্তীতে তাদের অনুরোধ করে অভাব অনুটনের কথা বলে ৫’শ টাকা কমিয়ে ২ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। ইতিমধ্যে আমরা ৭/৮ জন ঋণ করে করোনা মহামারির মধ্যেও ওই টাকা পরিশোধ করেছি। অন্যান্যদেরকে রমজানের মধ্যে অথবা ঈদের পরপরই টাকা দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ৪২ পরিবারের টাকা তোলার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে শামীম ও রহমত নামের দুই উপকার ভোগীকে।
স্থানীয় কৃষকলীগ নেতা বলেন, তহশীলদারের কাছে জায়গা রেজিস্ট্রিতে টাকা নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি সন্তুষ্টজনক উত্তর দেননি। বরং বারবার সুবিধা ভোগীদের টাকা দেয়ার কথাই বলেন।
এ বিষয়ে নানখার তহশীল অফিসের তহশীলদার মিছবাহ উদ্দিন প্রতিবেদককে জানান, ইউএনও এবং ভূমি অফিসারের অনুমতি ব্যতীত আপনাকে কোনো তথ্য দিতে পারব না বলে তিনি সংযোগ কেটেদেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরীফুজ্জামান জানান, কারো কাছ থেকে এরকম টাকা আদায় করা হয়নি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে আমাদেরকে ২’শ ৯৮ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা দিয়ে রেজিস্ট্রি করা সম্ভব নয়। তবে সদর উপজেলা ভুমি অফিসার বলছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাকে একটা বরাদ্দ দিয়েছেন। কোথায় থেকে কিভাবে দিয়েছেন সেটা উনার জানা নেই।