ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নির্মাণে কাজের বাবুর্চি মাসুক মিয়া’র (৪০) মৃত্যু নিয়ে ধু¤্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। পরিবার এবং এলাকাবাসী এটাকে পরিকল্পিত হত্যা বললেও নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্টরা এটাকে দূর্ঘটনা বলছেন। তবে রাজনগর থানা পুলিশ বলছে ময়না তদন্তের পর হত্যা না দূর্ঘটনা জানা যাবে। বুধবার সকালে উপজেলার তেলিজুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাসুক মিয়া ওই এলাকার কনাই মিয়ার ছেলে।
ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের সামনে মৌলভীবাজার-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন এলাকাবাসী। এসময় মানববন্ধন করতে পুলিশ বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ ব্যানার টেনে নিতে চাইলে আয়োজকদের সাথে পুলিশের হাতাহাতি হয়।
অন্যান্যদের মধ্যে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান দেওয়ান খয়রুল মজিদ ছালেক, ফজির আলী মাষ্টার, আব্দুল হান্নান, জয়নাল আবেদীন, ইউপি সদস্য সেলিম আহমদ, জুবায়ের আহমদ চৌধুরী, সুলেমান বক্স, মোস্তাফিজুর রহমান পলাশ ও মাছুমুর রহমান প্রমুখ। বক্তারা বলেন, মাসুককে পরিকল্পিত হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারীদেন তারা।
নিহত মাসুক মিয়া’র চাচী নিলুফা আক্তার প্রতিবেদককে বলেন, মাসুক এখানে ৪ বছর যাবত চাকুরি করছেন। চাকুরির পাশাপাশি সাইটের পাশে শাক সবজিও চাষ করেন। বুধবার সকাল ৭টায় প্রতিদিনের মতো সাইটে যান মাসুক মিয়া। ৯টায় তার সবজি খেত থেকে ২টা মিষ্টি কুমড়া নিয়ে বাড়িতে এসে স্ত্রী’র কাছে দিয়ে যান। এসময় বলেন, তার বড় দুইটা মিষ্টি কুমড়া কে নিয়ে গেছে। এটা জিজ্ঞাসা করতে তিনি আবার নির্মাণ কাজের পাশে যান। পরে ১১টার দিকে জানতে পারি মাসুক মিয়া মারা গেছেন। তিনি আরও বলেন, নির্মাণ শ্রমিকরা তার মৃত্যুর সংবাদ আমাদেরকে না জানিয়ে মাসুকের মৃত দেহ হাসপাতাল নিয়ে যায়। এতে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে মাসুক মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এবিষয়ে ডালি কন্সটাকশন লিমিটেডের প্রজেক্ট ইঞ্জিণিয়ার সবুজ আহমদ বলেন, নিহত মাসুক ছিল আমাদের কিউরিং ম্যান। লকডাউনে কাজ বন্ধ থাকায় সাইটের নিরাপত্তার জন্য সুপারভাইজার উনাকে নিয়ে বেড়ার কাজ করছিলেন। তখন এই দূর্ঘটনা ঘটে।
এ ব্যপারে রাজনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসেম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাধের জন্য ডালি কন্সটাকশন লিমিটেডের ৩ শ্রমিককে আটক রাখা হয়েছে। বুধবার মামলার যাবতীয় প্রস্তুতি শেষ করার পরেও নিহতের পরিবারের অসম্মতিতে এখনও মামলা হয়নি। তবে মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
