হোসাইন আহমদঃ
সরকার ঘোষিত চলমান এক সপ্তাহের লকডাউনে কাজ পাচ্ছেন না মৌলভীবাজারের কয়েক হাজার দিনমজুর ও শ্রমজীবি মানুষ। কাজ না থাকায় অনেকেই বেকার দিন কাটাচ্ছেন। স্বজন এবং পরিচিত জনদের কাছ থেকে ঋণে টাকা এনে দৈনন্দি খরচ চালাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ কোনো উপায় না পেয়ে সুদে টাকা আনতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে তাদের অভিযোগ করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত সরকারিভাবে তাদের কোনো সহযোগীতা করা হয়নি। জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকতারা তাদের খোঁজই রাখেন নি।
মৌলভীবাজার শহরের চৌমুহনী পয়েন্টে ভোর ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত কাজের জন্য শ্রমিকরা অপেক্ষা করেন। শহর এবং শহরের বাহিরের অনেক লোক এসে এখন থেকেই নানা ধরনের কাজের জন্য এখান থেকে লোক নিয়ে যান। লকডাউনের আগে শ্রমিকদের চাহিদাও ছিল। কিন্তু চলমান লকডাউনের কারণে অর্ধেকেরও বেশি শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। সকাল ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে কাজ না পেয়ে তারা বাড়ি ফিরে চলে যাচ্ছেন। প্রতিদিন ওই পয়েন্টে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজের জন্য জড়ো হয়।
সরেজমিন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় চৌমুহনী পয়েন্টে এলে দেখা যায়, হাতে কোদাল ও কাজের সরঞ্জাম হাতে নিয়ে শ্রমিকরা কাজের জন্য অপেক্ষা করছেন। যে কেউ আসলেই বলছেন লোক লাগবে নাকি। এভাবে দৌঁড়া দৌঁড়ি করেও কাজ পাচ্ছেন না। হতাশ মন নিয়ে কেউ কেউ আকিজ বিড়ি টানছেন আবার কেউ কেউ মাটিতে বসে সময় পার করছেন।
এসময় কথা হয় আবু তাহের, মোঃ ইদ্রীস মিয়া, শ্রী নির্মল চন্দ্র বেদ, শহিদ মিয়া ও বিতু দাশের সাথে। তারা বলেন, চলমান লকডাউনের পর থেকে অর্ধেক লোককে বেকার থাকতে হয়। ভোর ৬টা থেকে ১০টা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও কাজ পাওয়া যায়নি। খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। পরবর্তীতে পেটের ঝালায় ঋণ করে কিংবা সুদে টাকা এনে কোনো রকম দৈনন্দিন খরচ চালাচ্ছি।
পৌর মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, লকডাউন দীর্ঘ মেয়াদী হলে প্রথমেই পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদেরকে সহযোগীতা করা হবে। এনিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথেও কথা বলছি।